ঢাবিতে স্লোগান দেয়া নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে হাতাহাতি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:১৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯১ বার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। খবর যুগান্তর অনলাইন

বৃহস্পতিবার স্লোগান দেয়া , ‘না’ দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের অনুসারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের অনুসারীদের মধ্যে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে স্লোগান দেয়া, না দেয়াকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ ঝামেলা চলছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিন থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির মিছিল নিয়ে রাজুর ভাস্কর্যে আসার পরে ইকবাল হোসেন শ্যামলের একজন অনুসারী স্লোগান দিলে বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক রাকিব তাদের স্লোগান বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু রাকিবের কথা তারা না শুনে স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ক্ষেপে যান রাকিব। পরে তিনি এজন্য ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

পরে রাজু ভাস্কর্যে কর্মসূচি শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পায়রা চত্বরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে সেখানে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে ডাকসু নির্বাচনে জিয়া হল সংসদের ভিপি প্রার্থী তারেক হাসান মামুনের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক রাকিব।

এক পর্যায়ে তাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও থাপ্পড় এবং তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ সময় আহ্বায়কের থাপ্পড় নিয়ে নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানাতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক রাকিবের অনুসারী ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

পরে তারেক হাসান মামুন কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। তখন কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি পরে দেখবেন বলে জানান। তার কিছুক্ষণ পরে, রাকিবুল হাসান রাকিব কেন্দ্রীয় সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের কাছে তারেক হাসান মামুনে বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

অভিযোগ করার সময়ে কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তবিবুর রহমান সাগর বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেছেন বিষয়টি তারা পরে দেখবেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলছি, 'তুই বেটা থাম'।

পরে এ নিয়ে সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের অনুসারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকিবুল হাসান রাকিবের অনুসারীদের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে ছাত্রদলের জিয়া হল সংসদ নির্বাচনের ভিপি প্রার্থী তারেক হাসান মামু্ন বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা আমাদের আহ্বায়ক মহোদয়ের হঠাৎ মস্তিষ্ক বিকৃতি হয়ে গিয়েছিল। তাই তিনি আমার গায়ে হাত তুলেছেন। আমি সিনিয়র নেতাদের কাছে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছি। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ জানাব।

মারধরের বিষয়ে ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি সত্য নয়। আমি কারো গায়ে হাত তুলিনি। এটা আমাদের ইন্টারনাল বিষয়। সামান্য কথার কাটাকাটি হয়েছে। তেমন কিছু নয়।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, এটা ছোট একটি ঘটনা, এটা নিয়ে নিউজ করার কিছু নেই।