আপিলে পাস জাপা, বিএনপি প্রার্থীর শেষ ভরসা আদালত

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:০৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৫ বার।

বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের মনোনয়নপত্র আপিলেও বাতিল হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনভর নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের করা আপিলের শুনানি শেষে বিএনপি প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের মনোনয়নপত্রটি না মঞ্জুর হয়। খবর দেশ রুপান্তর অনলাইন।

তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়। 

বিএনপি প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন নির্বাচন কমিশনের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান। 

এর ফলে ২১ মার্চের নির্ধারিত উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আমিরুল আলম মিলনকে জাপা প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।

এর আগে রোববার মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ঋণখেলাপী ও পৌর কর পরিশোধ না হওয়ায় বাতিল ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। 

তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমিরুল আলম মিলনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে। 

বিএনপি প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন শুক্রবার সকালে বলেন, নির্বাচন কমিশন শুনানী শেষে আমার মনোনয়পত্র অবৈধ বলে আদেশ দিয়েছে। আমি ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

বাগেরহাট-৪ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, রোববার বাছাইয়ের দিনে বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ব্যাংক ঋণ ও পৌর কর বকেয়া থাকায় বাতিল হয়। এ দুই দলের প্রার্থী বুধবার আমাদের আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। বৃহস্পতিবার কমিশন দীর্ঘ শুনানি শেষে বিএনপি প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের মনোনয়নপত্র না মঞ্জুর করে জেলার আদেশ বহাল রাখে এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে। তবে বিএনপির প্রার্থী উচ্চ আদালতে নির্বাচন কমিশনের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। 

২৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১ মার্চ প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ এবং ২১ মার্চ এ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করে।