দিল্লিতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গায় নিহত বেড়ে ৪২

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:১৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৬ বার।

ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় অন্তত ৪২জন নিহত হয়েছেন। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে দিল্লি পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

এক বিবৃতিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়টি তারা বিবেচনা করেছেন।

এদিকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এক সতর্ক বিবৃতিতে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক অ্যালিস ওয়েলস দেখাতে চেয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার মতানৈক্য সামান্যই।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময়েই এই দাঙ্গা শুরু হয়েছিল। অ্যালিস বলেন, আমরা মোদির কথারই প্রতিধ্বনি করে শান্তি ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাচ্ছি। সব পক্ষকেই শান্তি বজায় রাখা ও সহিংসতা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে এই দাঙ্গা নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, এটা ভারতের বিষয়। ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মোদির অবিশ্বাস্য বিবৃতিরও প্রশংসা করেন তিনি।

ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিস্তৃত সহিংসতা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে সাড়া দিয়েছেন, তার সমালোচনা করেছেন দেশটির ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স।

জবাবে ট্রাম্প বলেন, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। মানবাধিকার রক্ষায় তাদের নেতৃত্ব ব্যর্থ হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মুসলিমবিদ্বেষী এই সহিংসতার শুরুতে পুলিশ নিষ্ক্রীয় ছিল। তলোয়ার, বন্দুক ও পাথর নিয়ে হিন্দুত্বাবাদীরা মুসলমানদের ওপর হামলা চালায়। তারা মুসলমানদের মসজিদ, ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও সম্পত্তি আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করে দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশমনও পুলিশের নিষ্ক্রীয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

দিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে বেছে বেছে মুসলিমদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। সব দেখেও সরকার নীরব বলে অভিযোগ করেছে এই কমিশন।

মার্কিন কমিশন বলেছে, মুসলিমদের ওপর আঘাতের আবহে ভারত সরকারের উচিত ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা।