সিরিয়ায় ব্যাপক হামলা শুরু করেছে তুরস্ক

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৫৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৯ বার।

সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক হামলা শুরু করেছে তুরস্কের সেনারা। ইদলিবে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে বৃহস্পতিবার আসাদবাহিনীর বিমান হামলায় ৩৩ তুর্কি সেনা নিহত হন। এরপর পাল্টা হামলা শুরু করে তুরস্ক। এতে অন্তত ১৬ সিরিয় সেনা নিহত হয়েছে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা দপ্তরের বরাতে দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু জানিয়েছে, ১,৭০৯ জন সিরিয় সেনাকে নিষ্ক্রিয় করেছে তুর্কি সেনারা। নিষ্ক্রিয় বলতে সাধারণত নিহত অথবা বন্দিদের বুঝিয়ে থাকে তুরস্ক।

ব্রিটেনভিত্তিক সিরীয় অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, বিদ্রোহীদের হটিয়ে মাস তিনেক আগে সরকারি বাহিনীর দখলে নেয়া বেশ কিছু অঞ্চলে সিরিয়ার সামরিক অবস্থানে ড্রোন ও গোলা বর্ষণ করে তুর্কি বাহিনী।

এদিকে আল জাজিরার খবরে বলা হয়, রাশিয়ার বিমানবাহিনীর সহযোগিতায় বিরোধীদের শেষ ঘাঁটি ইদলিবের দখল নিতে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে আসাদবাহিনী। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিমান হামলায় ৩৩ তুর্কি সেনা নিহত হন এবং অনেকে আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য তাদেরকে তুরস্কের ভেতর নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের হাতয় প্রদেশের গভর্নর রাহমি দোগান।

২০১৬ সালে সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর পর প্রথমবারের মতো একদিনে এত সংখ্যক তুর্কি সেনা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলো। এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠকে বসেছে এরদোয়ান সরকার। দুই ঘণ্টার ওই বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের পাশাপাশি উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা ছিলেন বলে জানা গেছে। পরে তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসি আকার ও ঊর্ধ্বতন সামরিক কমান্ডাররা সিরিয়ার সীমান্ত থেকে আসাদবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় স্থল ও বিমান হামলার নির্দেশনা দেন।

এদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, তুরস্ক তাদের সেনাদের অবস্থানের তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধক্ষেত্রে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে অবস্থান করায় তুর্কি সেনারা হামলার শিকার হয়েছে।

অন্যদিকে ন্যাটো মিত্র তুরস্কের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসৌলু। ইদলিব পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে আবারো সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ১১ লাখ মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন বলেও জানানো হয়।