অপহরণ নাটক সাজিয়ে ফেঁসে গেলেন দুই সহকর্মী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২০ ০৬:২২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৬ বার।

রিপন ও সৌহার্দ্য। বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন একটি টোব্যাকো কোম্পানিতে। কোম্পানির দুই লাখ টাকা আত্মসাত করার জন্য অপহরণ নাটক সাজিয়েছিলেন তারা। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি, নিজেদের সাজানো নাটকে নিজেরাই ফেঁসে গেছেন। 

ঘটনার সূত্রপাত রোববার বিকেলে। বিক্রয়কর্মী রিপন হন্তদন্ত হয়ে ভেড়ামারা থানায় এসে খবর দেন, কোম্পানির টাকা তুলে মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফেরার পথে ভেড়ামারা বিদ্যুৎ স্টেশনের পাশে একটি মাইক্রোবাসযোগে সন্ত্রাসীরা তার সহকর্মী সৌহার্দ্যকে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর পুলিশের একাধিক দল সড়কে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। রাতে এক পর্যায়ে সৌহার্দ্যকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর রূপপুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের কাছে সৌহার্দ্য জানান, একটি নীল রঙের হাইয়েচ গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় তাকে। আর রাজু জানা, সাদা রঙের একটি মাইক্রো এসে তুলে নিয়ে যায় তাকে। এ ঘটনার পর পুলিশের সন্দেহ হয়। দুইজনকে বিস্তারিত জিজ্ঞাবাসাদে আসল কাহিনী বের হয়ে আসে।

পুলিশ জানায়, কোম্পানির দেড় লাখ টাকা আগেই তছরূপ করেছেন দুইজন মিলে। রোববারও মার্কেট থেকে তারা ৬০ হাজার টাকা আদায় করেন। এ টাকা নয়ছয় করতে দুইজন মিলে অপহরণ নাটকের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক সৌহার্দ্য ভেড়ামারা থেকে বাসযোগে ঈশ্বরদীতে চলে যান। সেখানে গিয়ে সে জুতা ও মোবাইল একটি বাগানে ফেলে দেন। আর রিপন ভেড়ামারা থানা পুলিশের কাছে এসে খবর দেন অপহরণের।  

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর বলেন, দুই সহকর্মী মিলে অপহরণ নাটক তৈরি করেন। তারা এমন ভাবে বিষয়টি সাজিয়েছেন প্রথমে বোঝার উপায় ছিল না। পরে জিজ্ঞাসাবাদে আসল কাহিনী বের হয়ে আসে। কোম্পানির অর্থ তছরূপ করতেই তারা অপহরণ নাটক সাজিয়েছিলেন। প্রতারনা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে দুই কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে টোব্যাকো কোম্পানিটির কর্মকর্তারা।