গরুর শিং থাকবে কি-না, সুইজারল্যান্ডে গণভোট রোববার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:২১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৬ বার।
গরুর শিং থাকবে কি থাকবে না তা নিয়ে রোববার গণভোট অনুষ্ঠান করবে সুইজারল্যান্ড। গরুর শিং থাকা উচিত, না আগেই কেটে দেওয়া উচিত? এ নিয়ে সুইজারল্যান্ডে কৃষকদের মধ্যে চরম বিতর্কের পর এক কৃষকের উদ্যোগে প্রায় ৮ বছর পর আয়োজিত হচ্ছে এ গণভোট।

গরুর শিং থাকা স্বাভাবিক ব্যাপার হলেও সুইজারল্যান্ডে তা প্রযোজ্য নয়। দেশটিতে বেশিরভাগ গরুরই শিং নেই। বাছুর থাকা অবস্থাতেই তাদের শিং বিশেষ পদ্ধতিতে পুড়িয়ে দেয়া হয়, যেন আর বড় হতে না পারে।

শিং থাকলে মানুষ কিংবা প্রাণীর আহত হওয়ার আশঙ্কার কারণে সুইজারল্যান্ডে গরুর শিং রাখার নিয়ম নেই। কোনো কৃষক গরুর শিং রাখলে তারা সরকার থেকে ভর্তুকিও পায় না।

আর এসবের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ করে বসেন আরমিন কাপাউল নামের এক কৃষক। সুইজারল্যান্ডের গরুদের শিং ফিরিয়ে দিতে তিনি উদ্যোগ শুরু করেন ২০১০ সালে কেন্দ্রীয় কৃষি কার্যালয়ে একটি চিঠি দিয়ে। কিন্ত তাতে সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

পরে ২০১৪ সালে তিনি ‘গরুর শিং' নামে ফের নতুন উদ্যোগ শুরু করেন এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে তার পক্ষে ১ লাখের বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন৷ সুইস আইন অনুযায়ী গণভোট আয়োজনের জন্য যত স্বাক্ষরের প্রয়োজন, এ সংখ্যা ছিল তার চেয়েও অনেক বেশি৷

যদিও সরকার, সংসদ ও কৃষক সংগঠন এরপরও আরমিনের উদ্যোগের বিরোধিতা করে এসেছে। তাদের বক্তব্য, শিংওয়ালা গরুতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন আছে তেমনি শিংওয়ালা গরু রাখতে জায়গাও বেশি লাগে। তাই শিং থাকা উচিৎ নয়।

তবে কৃষক আরমিনের সঙ্গে যারা সহমত তারা সবাই প্রকৃতিগতভাবে প্রাপ্ত গরুর রূপ ঠিক রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন। গরুদের শিং ফেলে দেওয়া অমানবিক বলে মন্তব্য করেছেন তারা।

তাছাড়া, আরমিন মনে করেন,  শিং দিয়েই গরুরা যোগযোগ করতে পারে। শিং কেটে দিলে তাদের শরীরবৃত্তীয় কাজেও এর প্রভাব পড়বে, কারণ শিং তাদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

আর যে সব চাষী গরুর শিং কাটেন না, তাদের জন্য বার্ষিক ভর্তুকিও চেয়েছেন আরমিন৷ শিং-যুক্ত গরুদের গোয়ালে বেশি জায়গা লাগার কারণেই কৃষকদের জন্য তার এ অর্থ সাহায্য দাবি করা।

তাই গরুর শিং থাকবে কি-না আর গরুর শিং রাখা কৃষকদের ভর্তুকি মঞ্জুর হবে কিনা- সে বিতর্কের অবসান ঘটাতে রোববার গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে দেশজুড়ে।