দিল্লির হামলায় পুড়েছে ১২২টি বাড়ি, ৩২২টি দোকান: অন্তর্বর্তী রিপোর্ট

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২০ ০৬:১১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯১ বার।

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক চিত্র উত্তর পূর্ব দিল্লির জেলা প্রশাসনের তৈরি করা অন্তর্বর্তী রিপোর্টে উঠে এসেছে।

এই রিপোর্টে বলা হয়, এখন পর্যন্ত সহিংসতার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ১২২টি বাড়ি, ৩২২টি দোকান এবং ৩০১টি গাড়ি। চূড়ান্ত রিপোর্টে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে।

সোমবার প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা জানান, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটদের অধীনে তৈরি ১৮টি দলের পেশ করা তথ্যের ভিত্তিতেই এই অন্তর্বর্তী রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

এই সময় জানায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নির্দেশে এই দলগুলো উত্তর পূর্ব দিল্লির সহিংসতা বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে ‘ড্যামেজ অ্যাসেসমেন্ট সার্ভে’ চালিয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই সহিংসতার বলি হয়েছেন ৪৭ জন। আহত হয়েছেন ৩৫০ জনের বেশি।

দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের ফাইল করা রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সপ্তাহের সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৭৯টি বাড়ি, ৫২টি দোকান, পাঁচটি গোডাউন, চারটি মসজিদ, তিনটি কারখানা এবং দুটি স্কুল। পাঁচশ’র বেশি গাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে বিক্ষোভ বন্ধে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রার আল্টিমেটামের কয়েক ঘণ্টা পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানী দিল্লিতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সিএএ-বিরোধী মুসলিমদের ওপর সশস্ত্র হামলা শুরু করে আইনটির সমর্থকরা।

কয়েক দশকের মধ্যে দিল্লির নজিরবিহীন এই সাম্প্রদায়িক হামলায় কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন সাড়ে তিন শতাধিক। আহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ জন গুলিবিদ্ধ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ‘হিন্দুয়োঁ কা হিন্দুস্তান’, ‘জয় শ্রীরাম’- এসব স্লোগান দিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মসজিদে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

বিবিসি বাংলা জানায়, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাঙ্গাকারীদের সঙ্গে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে দেখা যায়। কোথাও আবার নিজ হাতে সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙেছে পুলিশ।