আওয়ামী লীগ নেতা ও স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর পর বিচারক বদলি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২০ ১৩:৫১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯১ বার।

পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় জামিন দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে দুই আসামির জামিনের আবেদনের শুনানি শেষে বন্ডের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা নিয়ে দুই মাসের জামিন দেন ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিন।

এর আগে দুপুরে দুদকের করা মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন জেলা দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান।

মঙ্গলবার দুপুরে আউয়াল তিনটি মামলায় ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন একটি মামলায় পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে বিচারক মো. আব্দুল মান্নান জামিন না মঞ্জুর কারে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নানকে বদলি করা হয়।

কারাগারে পাঠানো আদেশের পর আউয়াল ও লায়লা পারভীনের আইনজীবী আদালতে তাদের অসুস্থতার চিকিৎসা প্রতিবেদনসহ হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা ও ডিভিশন দেয়ার আবেদন করেন।

বেলা পৌনে ৩টার দিকে বিচারক ডিভিশনসহ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। পরে বিকেলে জেলা জজ নাহিদ নাসরিনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন জেলা ও দায়রা জজ। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আউয়াল ও লায়লা পারভীনের আইনজীবীরা ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনের কাছে জামিনের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে বিকেল চারটার দিকে বিচারক দুই আসামির জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

আউয়াল ও লায়লা পারভীনের আইনজীবী আহসানুল হক বলেন, আউয়াল সাহেব ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিন দুই মাসের জামিন দিয়েছেন।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে আউয়ালের বিরুদ্ধে খাস জমিতে ভবন নির্মাণ, অর্পিত সম্পত্তি ও পুকুর দখলের অভিযোগে তিনিটি মামলা করেন।

একটি মামলায় আউয়ালের সঙ্গে তার স্ত্রী পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়েছে। ৭ জানুয়ারি আউয়াল ও লায়লা পারভীন হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিন নেন।

মঙ্গলবার ওই জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তারা পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। এর আগে দুপুরে আউয়ালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর পিরোজপুর হুলারহাট সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়।

শহরের সার্কিট হাউস এলাকায় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করা হয়। এ ছাড়া পিরোজপুর-পাড়েরহাট সড়কের কয়েকটি স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। এ ছাড়া দুপুর একটার দিকে শহরের গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব সড়কে প্রতিবাদ মিছিল করে আউয়ালের অনুসারীরা।

নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসন থেকে আউয়াল সাংসদ নির্বাচিত হন।