ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পরেই ২০ আফগান সেনা-পুলিশ হত্যা তালেবানের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২০ ০৮:০৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০১ বার।

রাতে হামলা চালিয়ে আফগানিস্তানের ২০ সেনা ও পুলিশকে হত্যা করেছে তালেবান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির এক নেতার ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা পরেই তারা এই অভিযান চালিয়েছে।

বুধবার আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে।

প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য শফিউল্লাহ আমিরি বলেন, গত রাতে কুন্দুজের ইমাম শাহিব জেলায় তিনটি সেনাচৌকিতে হামলা চালিয়েছে তালেবান বিদ্রোহীরা। এতে অন্তত ১০ সেনা ও চার পুলিশ নিহত হন।

এছাড়াও মঙ্গলবার রাতে উরুজগান প্রদেশে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে তালেবান বিদ্রোহীরা। এতে অন্তত ছয় পুলিশ সদস্য নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন।

এর আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, তালেবান নেতার সঙ্গে চমৎকার আলোচনা হয়েছে। তবে কোন নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন, সে কতা বলেননি তিনি।

মঙ্গলবার তাদের মধ্যে ৩৫ মিনিটের কথা হয়েছে। এর একদিন আগে তালেবান একটি আংশিক চুক্তিতে পৌঁছায়। এতে কাবুলের সঙ্গে বিদোহীদের আগামী ১০ মার্চ শুরু হতে যাওয়া শান্তি আলোচনা অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়।

তবে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার একটি প্রতিলিপি প্রকাশ করেছে তালেবান। এতে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি বাহিনী সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুত পদক্ষেপ নিতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যোদ্ধা থেকে আলোচক হওয়া তালেবান নেতা মোল্লাহ বেরাদার।

যুক্তরাষ্ট্র-তালেবানের চুক্তি অনুসারে আগামী ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। এতে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে তালেবান এবং কাবুলের সঙ্গে আলোচনা শুরুর কথাও জানিয়েছে তারা।

কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের ঘটনায় নতুন করে একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এতে কাবুলের সঙ্গে তালেবানের আলোচনা হবে কিনা; তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

চুক্তি লঙ্ঘন করে কাউকে পদক্ষেপ নিতে অনুমোদন না দিতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বেরাগার। এতে যুদ্ধ আরও প্রলম্বিত হবে বলে তিনি দাবি করেন।