নওগাঁয় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের দিয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর ও জমি দখলের অভিযোগ

নওগাঁ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২০ ১১:৫২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২১ বার।

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার শল্পী ও কোকিল সম্মিলিত আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দিয়ে এলাকার এক অসহায় পরিবারের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষ নের্তৃত্ব দেয় বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। এই ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তবে বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শল্পী গ্রামের বাসিন্দা মোসলেম উদ্দীন ওই এলাকার রুপনারায়পুর মৌজায় ২৫ শতক জমি ক্রয় করে বসত বাড়ি নির্মাণ করে প্রায় ৩৫ বছর ধরে  ভোগ দখল করে আসছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে শল্পী ও কোকিল সম্মিলিত আলিম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোজাফ্ফর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো.মজনু হোসেনের নেতৃত্বে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা  সংঘবদ্ধ হয়ে অর্তকিত মোসলেম উদ্দীনের বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে দরজা- জানালা ভাংচুর, কাঠের বাক্সের জিনিস-পত্র তছনছসহ তাদের ব্যবহারের একটি মাত্র পায়খানা ভেঙ্গে জায়গা দখলে নেয়। এসময় তারা মোসলেম উদ্দীনের বাশঁ বাগান থেকে বেশ কিছু বাশঁও কেটে নিযে যায়।

এ ব্যাপারে মোসলেম উদ্দীন বলেন, 'মাদ্রাসা কমিটির লোকজনের নিকট থেকে প্রায ৩৫ বছর আগে ২৫ শতক জমি ক্রয করে সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ সহ বিভিন্ন গাছপালা লাগিয়ে বসবাস করে আসছি। কোন কিছু না জানিয়ে তারা হটাৎ করে বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আমার বসত বাড়ি ভাংচুরসহ আমাকে মারপিট করে। এতে আমার প্রায় লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে।'

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোজাফ্ফর রহমান বলেন, 'মোসলেম উদ্দিন মাদ্রাসার ২৫ শতাংশ জমি অবৈধভাবে জবর দখলকরে রেখেছে। বার-বার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকের জন্য তাকে বলা হলেও তিনি সাড়া দেয়নি।'

তিনি আরো বলেন, 'মাদ্রাসার জমি উদ্ধার করা হয়েছে তার কোন ক্ষতি করা হয়নি।'

তবে জমি দখলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কেন ব্যবহার করলেন এ বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এদিকে মঙ্গলবার রাতেই উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম হাসান সরদার বলেন, দুই পক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আগামী ৮ মার্চ উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে।