১০৩ দেশে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস, মৃতের সংখ্যা ৩৬০০

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২০ ০৫:২৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৫ বার।

দ্রুত বিস্তারে সক্ষম নভেল করোনাভাইরাস বিশ্বের ১০৩ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যে।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, শনিবার রাত পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এ রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬ হাজার ২০৩ জন । আক্রান্তের সংখ্যা লাখ পেরিয়ে গেলেও সে হারে মারা যায়নি। ডব্লিউএইচও বলছে, এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০০ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬০ হাজার ১৯০ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

আক্রান্ত ও মৃতের তালিকার ৯০ শতাংশই ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, শুধু চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৬৯৬ এবং এতে ৩ হাজার ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চীনের পরই ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি থাবা বসিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ১৩৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের।

আক্রান্তের দিক থেকে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কম হলেও চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ইতালিতে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৮৩ এবং মৃত্যু হয়েছে ২৩৩ জনের।

মৃতের সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইরান। এখন পর্যন্ত ইরানে ৫ হাজার ৮২৩ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১৪৫ জন।

এদিকে জাপানে নোঙর করা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৬৯৬ জন আক্রান্ত যাত্রীদের মধ্যে ৬ জন মারা গেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে ভ্যাটিকান সিটিতে এই প্রথম করোনা-আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে বলে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। তবে নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

এক হাজার জনবসতির এই ছোট্ট দেশের প্রতিটি মানুষের ওপরে নজরদারি করা হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সার্বিয়া ও ক্যামেরুনের মতো দেশেও প্রথম সংক্রমণের খবর মিলেছে।

এদিকে করোনাভাইরাস ঠেকাতে ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মক্কা এবং মদিনায় প্রবেশের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সৌদি সরকার।

তবে মসজিদগুলো জীবাণুমুক্ত করার পর শুক্রবার থেকে পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

কয়েক দিন আগে বাহরাইন হয়ে সৌদিতে এক কভিড-১৯ রোগী সৌদিতে প্রবেশ করলে এমন সতর্কতা নেয় সৌদি সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন দেশে এখন আর মহড়া নয় বলতে গেলে যুদ্ধই চলছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সংস্থাটির ডিরেক্টর টেডরস অ্যাডানম বলেন, এটি কোনো মহড়া চলছে না। তবে আমরা কেউই আশা ছাড়তে পারি না। কোনো অজুহাতও চলবে না। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য বিশ্বের সব দেশই বহুদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে। এখন সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার সময় এসেছে। একসঙ্গে সব দেশ নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে চেষ্টা করলে অবশ্যই এ মারাত্মক ভাইরাসকে আমরা আটকাতে পারব। তবে কিছু কিছু দেশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সব ধরনের সতর্কতা নিচ্ছে না। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

এদিকে করোনা প্রাদুর্ভাবের এমন মারাত্মক পরিস্থিতিতে যে সুসংবাদ আসছে- চীনে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। খুব তাড়াতাড়ি গোটা প্রদেশের ওপর থেকেই দেশটির সরকার কোয়ারেন্টাইন তুলে নিতে পারে বলে জানা গেছে।

সূত্র: ওয়ার্ল্ডমিটার