মেনে চলুন “কাফ এটিকেট”, বাছুন সার্জিক্যাল মাস্ক

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২০ ১৪:১৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৪১ বার।

নাক মুখ ঢেকে রাখলেই বিপদ তাড়ানো যাবে এমন ধারণা থেকেই মাস্ক পরার তাড়াহুড়ো শুরু হয়েছে। অনেকেই এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করছেন।কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এই দামি মাস্ক আদৌ কি সংক্রামন রুখতে পারে?
বক্ষ ও সংক্রামক অসুখ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগীর সংস্পর্শে না থাকলে এই এন৯৫ মাস্কের কোন প্রয়োজনই নেই। চিকিৎসক-নার্সরা এই ধরনের মাস্ক পরে রোগীর কাছে যান কারণ তাদের রোগীর এক মিটারের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ থাকতে হয়। সাধারণ মানুষের বেলায় কিন্তু সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্কই যথেষ্ট। 
তাছাড়া এই এন৯৫ মাস্ক বেশিক্ষণ পরে থাকা যায়না। রোদ উঠলে গরমের ভাব বাড়ে। মুখে ঘাম হয়, নাক চুলকায়। চশমা ঝাপসা হয়। মাস্ক সরে যায়। এতে বার বার মাস্ক ঠিক করতে গিয়ে হাত দিতে হয় মাস্কে। মাস্কের গায়ে হাত দিলে লেগে থাকা জীবানু হাতে লেগে যেতে পারে। এবার এই হাত যেখানে লাগবে সেখান থেকেই ছড়াতে পারে সংক্রামন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করাটাই স্বস্তিদায়ক।
আবার সবসময় মাস্ক পরতেই হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। ভীড়ভাট্টা বা কোন বড় আয়োজনে বের হলে মাস্ক পরাটা শ্রেয়। তবে সবচেয়ে জরুরী কাফ এটিকেট মেনে চল।

কাফ এটিকেট কি?
করোনার ভাইরাস বাতাসে ভেসে বেড়ায় না। এটি বায়ুবাহিত অসুখ নয়। হাঁচি কাঁশির সময় আক্রান্ত রোগীর নাক মুখ থেকে নির্গত বাতাসেই জীবানু আবদ্ধ থাকে। তাই হাঁচি কাঁশির সময় মেনে চলুন কাফ এটিকেট নিয়ম অর্থাৎ হাঁচি কাঁশির সময় সকলের সুরক্ষার জন্য বাহু দিয়ে মুখ ঢাকুন। 
তালু দিয়ে মুখ ঢাকলে জীবানু হাতের আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে। বাহু দিয়ে মুখ ঢেকে হাঁচি বা কাঁশলে সে ভয় থাকে না। এছাড়া অন্যান্য কাজেও হাতের তালু ব্যবহার করা হয়। তাই তালুকে হাঁচি কাঁশি থেকে দূরে রাখতে হবে।
আর কি করতে পারি আমরা?
চিকিৎসকদের মতে কাফ এটিকেট মেনে চলা ও বারবার ইথাইল অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ডওয়াশ বা সাবান দিয়ে হাত কচলে ধোয়াই যথেষ্ট। বাড়ি ফিরে, খাওয়ার আগে ও পরে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন। নেহাত বাইরে বের হলে, রোগীর সঙ্গে বাস করলে বা চিকিৎসকের কাছে গেলেও একটা সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক পরে নিন। এটুকু করলেই অসুখ এড়ানো অনেকটাই সম্ভব হবে।
তথ্য: আনন্দবাজার পত্রিকা