বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণে মুজিববর্ষের উদ্বোধন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২০ ১৪:৫১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৬ বার।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মক্ষণের সঙ্গে মিল রেখে আগামী ১৭ মার্চ রাত ৮টায় ‘মুজিববর্ষের’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে।

বৃহস্পতিবার বিকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। খবর দেশ রুপান্তর অনলাইন।

কমিটির কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন নিয়ে সারা দেশের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নানা নির্দেশনা দেন কামাল চৌধুরী।

তিনি জানান, ১৭ মার্চ রাত ৮টায় দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম এড়িয়ে আতশবাজির আয়োজন করা হবে। এর মাধ্যমেই শুরু হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর মূল আয়োজন।

তিনি বলেন, আমরা রাত ৮টায় করছি। কারণ এ সময়েই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আমরা সে সময়টি থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে জন্মশতবর্ষের আয়োজন শুরু করতে চাই।

১৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১০০ জন বাদ্যযন্ত্রী সেদিন একসঙ্গে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করবেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে থিম সং করা হয়েছে, সেটি সেদিন শিল্পীরা গেয়ে শোনাবেন। এছাড়া ‘চিত্রপটে, দৃশ্যকাব্যে বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও সম্প্রচারিত হবে টিভি চ্যানেলগুলোতে।

কামাল চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে আমাদের আয়োজনগুলোর সঙ্গে যেন সেবা ও উন্নয়ন সম্পৃক্ত করা হয়। এই মুজিববর্ষে যেন হয়রানি ব্যতিরেকে দুর্নীতিমুক্ত সেবা দেওয়া হয় জনগণকে।

সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হলেও তাতে যেন জনসমাগম বেশি না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে বলা হয়েছে। ১৭ মার্চ একই সঙ্গে জাতীয় শিশু দিবসও। ওই দিন রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। দুপুরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশন করা হবে বিশেষ খাবার।

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে কামাল চৌধুরী বলেন, আমাদের সাইটে ভিডিও ফুটেজগুলো রয়েছে। আপনারা সেগুলো প্রচার করুন যেন তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর নানা অবদান সম্পর্কে অবহিত হয়।

কামাল চৌধুরী বলেন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য সারা বছর জুড়ে যে আয়োজন করা হবে, তাতে যেন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথাই বেশি তুলে ধরা হয়। এতে তারা ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে জানবে। আরও সচেতন মানুষ হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপনে আগামী ১৭ মার্চ থেকে এক বছর ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন বছরব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন হবে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানসহ অতিথিদের নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় জনসমাগম এড়িয়ে ১৭ মার্চ সীমিত পরিসরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে প্রধান করে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বিভিন্ন চ্যানেলে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করবে।