করোনা মোকাবিলায় যেভাবে সফল হংকং

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২০ ০৯:২৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯০ বার।

চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিতে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয় জানুয়ারির ২৩ তারিখ। কিন্তু এখন পর্যন্ত হংকংয়ে মাত্র ১২২ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন এবং এর প্রকোপে মারা গেছে মাত্র তিন জন। যেখানে পার্শ্ববর্তী চীনের মূল ভূখণ্ডেই মারা গেছে তিন হাজারের অধিক মানুষ।

হংকং কীভাবে নাগরিকদের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়ানো রোধ করলো, সে বিষয়ে বিবিসি বাংলা কথা বলে হংকং নিবাসী বাংলাদেশি প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামানের সঙ্গে, যিনি সাত বছর ধরে হংকংয়ে রয়েছেন।

মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘২০০৩ সালের সার্স এর সময় চীনের পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল হংকং। প্রায় তিনশো মানুষ মারা গিয়েছিল হংকংয়ে। আমার মতে ভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে হংকংকে সবচেয়ে বেশি যেটা সাহায্য করেছে তা হলো তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা।’

তিনি বলেন, ‘এখানে প্রায় শতভাগ মানুষের মুখে মাস্ক পরা। তারা চেষ্টা করছে ভিড়, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে। সাধারণ জ্বর সর্দি থাকলেও কর্মক্ষেত্রে আসছে না। সরকারিভাবেও যথেষ্ট সতর্কতা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে।’

প্রতিটি ভবনের প্রবেশপথে, সেটি রেস্টুরেন্ট, আবাসিক ভবন বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যাই হোক না কেন, সেসব জায়গায় দেখা যায় নিরাপত্তা রক্ষীরা সবার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছে, মাস্ক না পড়ে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না বলে তিনি জানান। অফিসের প্রত্যেকটি গেইটের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা রয়েছে। যারাই প্রবেশ করবেন, তাদের সবারই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ঢুকতে হবে।’

জানুয়ারির শুরু থেকে সব পাবলিক লাইব্রেরি, পাবলিক জিমনেসিয়াম বন্ধ রয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। সরকারি অফিসগুলোতে কাজের পরিধি কমিয়ে দেয়া হয়েছে। আর যেসব অফিসে সম্ভব সেসব অফিসে কর্মীদের ঘরে থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।

মুনিরুজ্জামান বলেন, হংকং ও চীনের মধ্যে ১৪টি বর্ডারের ১০টি এখনো বন্ধ রয়েছে। বাকি চারটি বর্ডার দিয়ে যারাই হংকংয়ে প্রবেশ করে তাদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন করতে হয়। এটিই এখন আইন। কোয়ারেন্টাইন যথাযথভাবে হচ্ছে কিনা তা মনিটর করছে হংকংয়ের পুলিশ প্রশাসন।

সূত্র: দেশ রুপান্তর