করোনাভাইরাসে কমেছে বায়ু দূষণ
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
করোনাভাইরাসে দেশজুড়ে অচলাবস্থা চালু হওয়ার পর ইতালির উত্তরাঞ্চলে বায়ু দূষণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। শুক্রবার উপগ্রহের ছবিতে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।
সম্ভাব্য ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমনে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সর্বশেষ প্রভাবের নজির হচ্ছে এই বায়ু দূষণ কমে যাওয়া। কোয়ারেন্টাইন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পর ভাইরাসটির উৎসস্থল চীনেও দূষণ কমে গেছে।
এর কয়েক সপ্তাহ পর ইতালিতেও এই ভাইরাসের মহামারী দেখা দেয়। চীনের মতো ইউরোপীয় দেশটিতেও দূষণ কমে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা জানায়, বিশেষ করে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাডের নির্গমন কমে গেছে বলে তারা পর্যবেক্ষণ করেছে। সাধারণত বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গাড়ি ও কারখানাগুলো থেকে এই ক্ষতিকর গ্যাসের নির্গমন ঘটে। ইতালির উত্তরাঞ্চলের পো উপত্যকায় এমন দৃষ্টান্ত পাওয়া গেছে।
কোপারনিকাস সেন্টিনেল-৫পি উপগ্রহের মিশনের ব্যবস্থাপনা করেন ক্লোঁ জেহনার। তিন বলেন, মেঘের ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে উপাত্তে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। কিন্তু কাকতালীয়ভাবেই অচলাবস্থার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিকর গ্যাসের নির্গমন কম হচ্ছে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী। যান চলাচল ও কারখানার তৎপরতা কমে যাওয়ার কারণেই এমনটি ঘটছে।
করোনাভাইরাসে ইউরোপে সবচেয়ে মারাত্মক আক্রান্ত দেশ ইতালি। সেখানে ১৫ হাজার ১০০ লোক আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন এক হাজার জন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে কঠিন অচলাবস্থা আরোপ করে দিয়েছে সরকার। কারখানা ও যান চলাচলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক মহামারীতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি বের করে আনার চেষ্টা করছেন।
ফিনল্যান্ডের জ্বালানি ও পরিষ্কার বাতাস গবেষণা কেন্দ্র বলছে, গত চার সপ্তাহ থেকে পহেলা মার্চ পর্যন্ত চীনে কার্বন ডাইঅক্সাইডের নির্গমন এক চতুর্থাংশ কিংবা ২০ কোটি টন কমে গেছে। যা ব্রিটেনে এক বছরে নির্গমন হওয়া কার্বন ডাইঅক্সাইডের অর্ধেক।
উপগ্রহের উপাত্তে দেখা গেছে, উহান থেকে করোনাভাইরাস শুরু হয়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে চীনে নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গমন ব্যাপকহারে কমেছে।