মেলেনি সভাপতির স্বাক্ষর: ৫মাস বেতন পাচ্ছেন না বগুড়ার ৩৩শিক্ষক

আদমদিঘী(বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২০ ১১:৩৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২২৫ বার।

বেতন বিল ফরমে সভাপতির স্বাক্ষর না পাওয়ায় বগুড়ার আদমদীঘি চাঁপাপুর জালাল উদ্দীন আহমেদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ ৩৩জন শিক্ষক কর্মচারীরা দীর্ঘ ৫ মাস যাবত বেতন ভাতাদি পাচ্ছেননা। ফলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাদান কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে এবং তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অবিলম্বে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়েছেন অভিভাবক মহল।
জানাযায়, আদমদীঘি চাঁপাপুর জালাল উদ্দীন আহমেদ কলেজে গর্ভনিংবডি নিয়ে নানা জটিলতায় দীঘদিন যাবত মামলা মোকদ্দমার কারনে নিয়মিত কমিটি গঠন হচ্ছেনা। গত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৎকালিন অধ্যক্ষ ওমর আলী শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন বিলে গর্ভনিংবডি না থাকার কারনে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি অফিসারের স্বাক্ষর নিয়ে নসরতপুর সোনালী ব্যংক থেকে তাদের বেতন ভাতাদি উত্তোলন করেন। অধ্যক্ষ ওমর আলী ২০১৯ সালে ১৪ অক্টোবর অবসর গ্রহন করার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে নজরুল ইসলামকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ ওই ২১ অক্টোবর কলেজে এডহক কমিটি গঠনের অনুমতি প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে এডহক কমিটি গঠনের গেজেট ৩৯ এর (গ) (আ) মোতাবেক একজন অভিভাবক সদস্য মনোনীত করার জন্য একই সালের ২৮ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম আবেদন করেন। কিন্ত অদ্যবদি অভিভাবক সদস্য মনোনীত না হওয়ায় পুর্ণাঙ্গ এডহক কমিটি গঠন হয়নি। এদিকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ৩৩জন শিক্ষক কর্মচারীরা বেতন বিল প্রস্তত করে গত ২০১৯ সালের সেম্টেম্বর মাসের পর থেকে প্রতি মাসে বেতন বিলে স্বাক্ষর করার জন্য উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট দাখিল করলেও তিনি বেতন বিলে স্বাক্ষর না করায় বিগত ৫ মাস যাবত তারা বেতন ভাতাদি পাচ্ছেননা। ফলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাদান কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে এবং তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট নিয়মিত বেতন বিল দাখিল করা হলেও তিনি নানা অজুহাতে স্বাক্ষর না করায় শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ বেতন ভাতাদি পাচ্ছেনা। এছাড়া বিধিমোতাবেক এডহক কমিটিতে তিনি একজন অভিভাবক সদস্য মনোনয়ন না করায় এডহক কমিটিও গঠন সম্ভব হচ্ছেনা।

উপজেলা নির্বাহি অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ জানান, এ সংক্রান্ত একটি চিঠি রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে প্রদান করা হয়েছে। বোর্ড অনুমতি দিলে বেতন বিলে স্বাক্ষর করা হবে।