আশকোনা হজ ক্যাম্পে সেনা মোতায়েন

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২০ ১৪:৫৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৪ বার।

রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইনে থাকতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ইতালি থেকে দেশে ফেরা ১৪২ বাংলাদেশি। এ সময় বাইরে থেকে তাদের স্বজনরাও বিক্ষোভে যোগ দেন। এ পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। খবর যুগান্তর অনলাইন

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ইতালি ফেরতদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তায় শনিবার সন্ধ্যায় সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

এর আগে শনিবার দুপুর ২টার দিকে ইতালি ফেরত লোকজন ও তাদের স্বজনরা ক্যাম্পের ভেতর ও বাইরে এই বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে ইতালি ফেরতরা হজ ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ইতালিফেরত লোকজন ও তাদের স্বজনদের কথা-কাটাকাটি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।

বিক্ষুব্ধরা তখন অভিযোগ করে বলেন, তাদেরকে হজ ক্যাম্পে আনার পর কর্তৃপক্ষ কী করতে চায়, তা বলছে না। তাদেরকে শুধু পানি ছাড়া কোনো খাবারও দেয়া হচ্ছে না। তারা বলছেন, কোয়ারেন্টাইনে থাকলে তারা প্রয়োজনে বাড়িতেই থাকবেন। এ সময় পুলিশকে উদ্দেশ্য করে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করেন বেশ কয়েকজন প্রবাসী। হজ ক্যাম্পের প্রধান গেটে এসে বিক্ষোভ ও গেট ধাক্কাধাক্কি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন কয়েকজন প্রবাসী। এ সময় তারা প্রশাসনের অবহেলার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। এদের একজন বলেন, এখানে তারা অমানবিক অবস্থার মধ্যে আছেন। শিশুরা আছে। কিন্তু কোনো খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্ষোভ শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যেই বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় এবং প্রবাসীদের সেখান থেকে সরিয়ে নেয় পুলিশ।

ইটালি ফেরত একজন অভিযোগ করেন, আমাদেরকে লাইনে দাঁড় করানো হয়েছে পরীক্ষা করানোর জন্য। একজনের গা ঘেষে আরেকজনকে দাঁড় করানো হয়েছে। কেউ যদি আক্রান্ত থাকে, তবে তার শরীর থেকে এ ভাইরাস অন্য জনের শরীরে ছড়াবে নিশ্চিত।

গোপালগঞ্জের মুকসেদপুরের দুইজন পুরুষ ও একজন নারী এসেছেন ইতালি থেকে। তাদেরকেও হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। তাদের স্বজন দেলওয়ার হোসেন ও তার দুই স্বজন রিসিভ করার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু দেখা করতে দেয়া হয়নি। দেলওয়ার হোসেন বলেন, বাসা থেকে রান্না করা খাবার ভেতরে পাঠিয়েছি। তবে তাদের কখন ছাড়বে, কেউ কিছু বলছে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান ভুইয়া বলেন, দেশে এসেওতো তারা বাড়ি ফিরতে পারছে না। অথচ তাদের শরীরে করোনাভাইরাস নেই। তিনি বলেন, তাদেরকে এখানে আনা হবে, পরীক্ষা করা হবে, রাখা হবে। এ বিষয়টি যদি আগে জানিয়ে দেয়া হতো, তাহলে তাদের আর এই সমস্যাটি হতো না।