করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধদের 'মৃত্যুর জন্য' রেখে দিচ্ছে ইতালি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২০ ১২:৫৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৩ বার।

ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। হাসপাতালগুলো চাপ বাড়ার কারণে অনেক স্থানে আইউসিইউ বেডের সংকট দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ৮০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী এবং যাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা বেশি খাবাপ তাদের আইসিইউ সেবা না দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে উত্তর-পূর্ব ইতালির পাইডমন্ট প্রদেশের তুরিন শহরের সংকট পরিচালনা ইউনিট। 

চিকিৎসকের আশঙ্কা, আইসিইউ সেবা না পাওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। খবর টেলিগ্রাফের 

সংকট পরিচালনা ইউনিটের ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গোটা ইতালিতে আইসিইউয়ের স্থান কমছে। এ কারণে জায়গা থাকার ভিত্তিতে ইউনিটটি নির্ধারণ করবে কোন রোগীকে আইসিইউতে রাখা হবে আর কাকে রাখা হবে না। 

পাইডমন্ট প্রদেশের নাগরিক সুরক্ষা কমিটির তৈরি ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘জরুরি ক্ষেত্রে আইসিইউ সুবিধা পাওয়ার জন্য আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ৮০ বছরের কম অথবা চার্লসন কম্বার্বিডিটি সূচকে একটি নির্দিষ্ট স্কোরের অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। সেখানে রোগীর স্কোর ৫ এর কম হতে হবে।’ এই সূচকের মাধ্যমে সাধারণত একজন রোগীর আরও কত ধরনের শারীরিক সমস্যা আছে তা জানা যায়। 

ওই প্রস্তাব থেকে জানা গেছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কতটুকু সেটাও বিবেচনা করবে ইউনিটটি। 

একজন চিকিৎসক বলেছেন, এখন যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রোগীর বয়স ও স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হবে। 

নাগরিক সুরক্ষা কমিটির ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এখন এমন মহামারি আকার ধারণ করেছে যে, রোগীদের প্রযোজন অনুযায়ী আইসিইউর ভারসাম্য রাখা যাচ্ছে না। সবাইকে এই সুবিধা দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এ কারণে ক্যাটাগরি ভাগ করে তাদেরকে সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। 

পাইডমন্টের স্বাস্থ্য কাউন্সিলর লুইজি ইকার্দি বলেছেন, ‘আমি কখনই এমন মুহূর্ত দেখতে চাইনি। এটি বাধ্যতামূলক হবে এবং আইসিইউর সুবিধা পাওয়ার জন্য অগ্রাধিকার কোডটি প্রতিষ্ঠা করা হবে্।’

প্রস্তাবটি এরই মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। প্রযুক্তিগত-বৈজ্ঞানিক কমিটির অনুমোদনের পর এটি হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হবে। ইতালি সরকারের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোগীর সেবা দেওয়ার এই মানদণ্ডটি গোটা ইতালিতেই প্রয়োগ করা হবে। 

করেনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে ইতালিতে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে।