সাংবাদিককে গ্রেফতার ও শাস্তি প্রক্রিয়া বিধিসম্মত হয়নি: হাছান মাহমুদ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২০ ১৩:৫৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭০ বার।

কুড়িগ্রামে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার ও শাস্তি প্রদান প্রক্রিয়া বিধিসম্মত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটি বিধিসম্মত হয়নি।’

রোববার বিকালে ঢাকার আগারগাঁওয়ে জাতীয় বেতার ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। খবর বাসসের।

তিনি বলেন, ‘গত ১৩ মার্চ দিবাগত রাতে কুড়িগ্রামে একজন সাংবাদিককে যেভাবে ঘর থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র কোর্ট বসিয়ে শাস্তি দেয়া হয়েছে, আমার দৃষ্টিতে এটি কোনোভাবেই বিধিসম্মত হয়নি। এটর্নি জেনারেল ইতিমধ্যেই তার বক্তব্যে এভাবে মধ্যরাতে অন্যত্র কোর্ট বসানো যায় না বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যতদূর দেখে আসছি, মোবাইল কোর্ট ঘটনাস্থলেই বসাতে হয়। একজনকে ধরে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র মোবাইল কোর্ট বসানো কোনোভাবেই বিধিসম্মত নয় এবং এটা যেভাবে ঘটানো হয়েছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। এবিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

তিনি বলেন, ডিসি হোন বা অন্য কর্মকর্তা হোন, যেই হোন, তিনি যদি আইন বহির্ভূতভাবে কোনো কাজ করে থাকেন, সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং অন্যরাও যারা এর সঙ্গে জড়িত, তারাও এর দায় এড়াতে পারেন না।’ ‘কারো কোনো অপরাধ থাকলে তার বিচারেরও নিয়মনীতি রয়েছে, কিন্তু এক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা হয়েছে বলে আমি মনে করি না’, বলেন ড. হাছান।

অপর একজন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজ রয়েছেন বলে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার খোঁজখবর করছে।

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোকসজ্জা করোনা সংক্রমণে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না’ সে ব্যাপারে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আলোকসজ্জা বরং করোনার কারণে চিন্তিত মানুষকে উজ্জীবিত করবে। প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকলেও করোনা ভাইরাসের কারণে জনসমাগমপূর্ণ সব অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এবং আলোকসজ্জার সঙ্গে জনসমাগমের কোনো সম্পর্ক নেই বিধায় করোনা সংক্রমণে এর কোনো প্রভাবও নেই।’

পরে মন্ত্রী বেতার মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, উন্নত রাষ্ট্রের পাশাপাশি উন্নত জাতি গঠন আমাদের লক্ষ্য, এবং বেতার সেই লক্ষ্য অর্জনে বড় ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার, সংবাদ ও অনুষ্ঠান শাখার উপ-মহাপরিচালকবৃন্দ, পরিচালকবৃন্দসহ সব পর্যায়ের কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।