গাজীপুরে কোয়ারেন্টিনে প্রবাসীদের তালা ভেঙে বিক্ষোভ

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২০ ১৭:৩৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৭ বার।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ইতালি থেকে সদ্য দেশে আসা প্রবাসীরা কোয়ারেন্টিনে রাখায় হাসপাতালের তালা ভেঙে বিক্ষোভ করেছেন। তার এ সময় হাসপাতাল চত্বরে বের হয়ে আসেন। রবিবার বিকেলে তারা গাজীপুর মহানগরের পূবাইলে ‘মেঘডুবি ২০শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের’ কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙে বাইরে এসে বিক্ষোভ করে বলে জানায় প্রশাসন।

গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, কেন্দ্রে কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসীরা বিক্ষোভ করার পর তাদের ৪ জনের শরীরে জ্বর অনুভূত হওয়ায় তাদের ঢাকার উত্তরায় স্থানান্তর করা হয়েছে। খবর দেশ রুপান্তর

উল্লেখ্য, দেশে ফেরার পর শনিবার রাতে ৪৮ জনকে গাজীপুর মহানগরের পূবাইলে ’মেঘডুবি ২০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য নেওয়া হয়।

আব্দুল্লাহ আল জাকী জানান, প্রবাসীরা বিদেশ থেকে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা পাঠায় এই কথা বলে তাদের কোন অপরাধে মেঘডুবি হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছে জানতে চান তারা। এসব বলে তারা বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে ওই হাসপাতালের ভেতরের কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙে হাসপাতাল চত্বরে বের হয়ে আসেন তারা।

পূবাইল থানার ওসি মো. নাজমুল হক ভূঁইয়া জানান, বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের খবর পেয়ে সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পর হাসপাতালের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।

চারজনের জ্বর

গাজীপুরের সিভিল সার্জন খায়রুজ্জামান বলেন, এখানে কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে চারজনের দেহে লক্ষণীয় মাত্রায় জ্বর থাকায় আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাদেরকে উত্তরার এক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা এখনো ভালো আছে। তাদের আর কোন সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, এখান থাকা ইতালিপ্রবাসীরা ধৈর্য হারিয়ে ফেলছেন। তাদের বিষয়ে তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত চায়। তবে তাদের বেলায় সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে কোন কিছু করার নেই।

একজন মেডিকেল অফিসার তাদের পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রবাসীদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়েছে। মশার উপদ্রব থেকে রক্ষায় মশারি ও কয়েল দেওয়া হয়েছে। প্রতি কক্ষে ৩/৪ ফুট দূরে দূরে ১০ জন থেকে ৬ জন করে রাখা হয়েছে। এছাড়া এক প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানকে আলাদা করে এক কক্ষে রাখা হয়েছে বলে জানান ইউএনও।

সেখানে ৭০ জন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে, তবে সেখানে শনিবার ৪৮ জনকে পাঠানো হয়।

এদিকে, রবিবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বিদেশ থেকে ফেরা ২ হাজার ৩১৪ জন দেশের বিভিন্ন এলাকায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।

গত সপ্তাহের শুরুতে নভেল করোনাভাইরাস পাওয়া তিনজন চিকিৎসা শেষে সবাই বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে নতুন দুজনের দেহে শনিবার সংক্রমণ পাওয়া যায় বলে আইইডিসিআর জানিয়েছে।