এনকাউন্টারের মানসিকতা আসলে ছিল না, রিগ্যানকে ফোনে ডিসি সুলতানা

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২০ ১৯:২৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৫ বার।

কুড়িগ্রামে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনায় সদ্য প্রত্যাহার হওয়া কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীন ও নির্যাতিত সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানের মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথনের অডিও প্রকাশিত হয়েছে। খবর সমকাল অনলাইন

জামিনে বেরিয়ে আসার পর মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়ে রিগ্যানকে চুপ থাকতে বলেছিলেন ডিসি সুলতানা পারভীন। মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া এবং আরিফুলের সই নেওয়া কাগজপত্র ফেরত দিতেও চেয়েছিলেন।

আরিফের সঙ্গে ডিসি সুলতানার কথোপকথনের ওই অডিওতে ডিসি সুলতানা পারভীনকে বলতে শোনা যাচ্ছে- 'একটু নিরিবিলি থাকো': 'এখন মিডিয়াকে অ্যাভয়েড (এড়ানো) করে থাকো।... দেখা যাক আল্লাহ ভরসা। তোমার ভবিষ্যৎ নিয়ে আপাতত চিন্তা করার দরকার নাই। ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তা করার কিছু নাই। আমরা তোমার পাশে থাকব। তোমার মামলা প্রত্যাহার করে নেব। একটু সময় দিও। একটু পজিটিভলি দেখতে হবে।' জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ার পরপরই এক ব্যক্তির মাধ্যমে সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন সদ্য প্রত্যাহার হওয়া কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন। আরিফকে ফোনালাপে তিনি বলেন, 'যাই হোক একটি ঘটনা ঘটে গেছে। তুমি একটু রেস্ট নাও। যাও, একটু নিরিবিলি থাকো।' কথোপকথনে এনকাউন্টারে দেওয়ার হুমকি পাওয়ার মতো অপরাধ করেছেন কিনা আরিফ তা জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, 'এনকাউন্টারের মানসিকতা আসলে আমাদের ছিল না। ওইভাবে ছিল না।'

জানতে চাইলে আরিফুল ইসলাম রিগ্যান বলেন, 'কারাগার থেকে বের হওয়ার পর জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন এক ব্যক্তির মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি আমাকে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে চুপচাপ থাকতে বলেন। আমি আসলে তখন আতঙ্কিত ছিলাম। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তিত ছিলাম।'

কথোপকথনের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সুলতানা পারভীনকে পাওয়া যায়নি। তবে কুড়িগ্রাম ছাড়ার আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সেদিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, সেটি নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে নিয়ে ব্যাখ্যা দেন সুলতানা পারভীন। দীর্ঘ স্ট্যাটাসে কুড়িগ্রামে দুই বছর থাকাকালীন উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে সেদিন রাতের ঘটনায় নিজের দায় এড়িয়ে অধস্তন কর্মকর্তাদের ওপর সব দোষ চাপান।