অধিবেশন চালু রাখতে অনড় মোদি, মাস্ক পরে যোগ দেবেন সদস্যরা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২০ ১৩:৪৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৫ বার।

ভারতজুড়ে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির খবরের মধ্যেই সংসদ অধিবেশন চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কয়েকজন সদস্যের অধিবেশন বন্ধের দাবিকে স্কুলের বাচ্চাদের ছুটি চাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার লোকসভা অধিবেশনে সংসদ বন্ধের দাবিতে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের সংসদ সদস্য সৌগত রায়। কিন্তু বিষয়টিতে স্পিকার কর্ণপাত করেননি। অধিবেশন মুলতুবির পরেই ওই সংসদ সদস্যকে ডেকে পাঠান নরেন্দ্র মোদি।

এসময় সৌগত রায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে মোদির কাছে অধিবেশন বন্ধ রাখার আবেদন জানান। জবাবে নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য, ‘কাজ তো চালু রাখতে হবে।’ পরে সৌগত রায় জানান, প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছেন, স্কুলের বাচ্চারা তো এই রকম ছুটি চেয়ে থাকে। এমন করলে চলবে না।

বুধবার বিজেপির সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও মোদি জানিয়ে দিয়েছেন, সংসদ চলবে নির্ধারিত ৩ এপ্রিল পর্যন্তই। যেভাবে সংসদ বন্ধ করার জন্য কয়েকজন সদস্য চিঠি দিয়েছেন তাতে হতাশ বলে বৈঠকে জানান তিনি।

সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর বলেন, ‘বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আজ ডাক্তার, নার্স, যারা বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে কাজ করছেন, তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। কোভিড-১৯ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সংবাদমাধ্যমের ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন তিনি।

এরপরই ৩ তারিখ পর্যন্ত সংসদ চালানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেন মন্ত্রী।

সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে দেখেও সংসদের মতো বিশাল সমাবেশ কেন জোর করে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল। গত কালের মতো আজও সংসদ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের লোকসভার নেতাকে জানিয়েছেন, তার সাংসদদের যাবতীয় সাবধানতা অবলম্বন করতে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, নেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আগামীকাল তৃণমূলের সব সাংসদ অধিবেশন কক্ষে মাস্ক পরে উপস্থিত থাকবেন।

সংসদে সংক্রমণ মোকাবিলার ব্যবস্থাও মোটে উপযুক্ত নয় বলে অভিযোগ অনেক সংসদ সদস্যের। বাইরের ছয়টি গেটে শরীরের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র দেয়া হয়েছিল। দিল্লি পুলিশ ও সংসদীয় কর্মীদেরও সেই কাজে লাগানো হয়েছিল। কিন্তু ব্যাটারি না থাকায় বিকেলের পর পাঁচটি গেটই বন্ধ রাখতে হয়।

সবাইকে একটি মাত্র গেট দিয়েই ঢোকানো হয়। দোতলার ক্যান্টিনগুলোর স্যানিটাইজারের বোতল শুক্রবারের পর থেকে খালি পড়ে রয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, মোদি করোনা রুখতে সামাজিক দূরত্ব বাড়ানোর যে নির্দেশ দিচ্ছেন, সংসদ চললে সেটা কী ভাবে সম্ভব হবে?