‘কনটেইনমেন্ট’ এ শিবচরের ৪ এলাকা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শিবচরের চার এলাকায় ‘কনটেইনমেন্ট’ (চলাচলে সীমাবদ্ধতা) ঘোষণা করেছে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। খবর দেশ রুপান্তর অনলাইন।

জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণ এড়ানোর জন্য শিবচর পৌরসভার ২টি ওয়ার্ড ও ২টি ইউনিয়নের ২টি গ্রামের জনগণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। বাজারের দোকানপাট খোলা থাকবে। তবে জনসমাগম এড়িয়ে চলার অনুরোধ রইল। এটাকে আমরা ‘কনটেইমেন্ট’ বলছি।

শুক্রবার শিবচর থানায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে করে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি নুরে আলম মিনা বলেন, প্রাথমিকভাবে শিবচরের চারটি এলাকা শনাক্ত করা হয়েছে। শিবচর পৌরসভার দুটি ওয়ার্ড ও পাঁচ্চর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এবং দক্ষিণ বহেরাতলা ইউনিয়নের একটি গ্রাম শনাক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, এ সব এলাকার প্রবেশ পথ বা বাইরে হওয়ার পথ আমরা নিয়ন্ত্রণ করব। এখানে যেন কেউ বাইরে থেকে প্রবেশ করতে না পারে। যারা প্রবাসী আছেন তারা যেন অবাধ ঘোরাফেরা না করে এটাও দেখব। যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন, তাদের কঠোর নজরদারিতে রাখব।

তিনি বলেন, যারা সুস্থ আছেন তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনবেন। আমাদের সব পুলিশ সদস্যদের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ এলাকার জন্য ২৫০ পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। এখানে আরো পুলিশ সদস্যের প্রয়োজন হলে আমরা বাড়াব।

নুরে আলম মিনা বলেন, করোনার অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেন কেউ বাড়াতে না পারে সে দিকে নজর রাখব। মাইকিং করে, লিফলেট বিতরণ করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। আমরা সবাই মিলে শিবচরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।

পুলিশের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, ইতালি থেকে আসা এক প্রবাসীর জন্য শিবচরের একই পরিবারের আটজন আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা সচেতনতা বৃদ্ধি করছি। প্রত্যেক ইউনিয়নের ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হোসেন, শিবচর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবিদ হোসেন, ওসি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে মাদারীপুরের শিবচর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী সবাইকে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভার আয়োজন করে করোনা সংক্রমণ এড়াতে শিবচর পৌরসভার ২টি ওয়ার্ড, পাঁচ্চর ইউনিয়নের ১টি গ্রাম ও দক্ষিণ বহেরাতলা ইউনিয়নের ১টি গ্রামে বিশেষ ব্যবস্থা ঘোষণা করে।

ঘোষণার পর শুক্রবার সকাল থেকেই উপজেলাটি থেকে সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন বাজারের বেশ কিছু দোকান বন্ধ দেখা গেছে। বিভিন্ন স্থানে জনসমাগমও কম দেখা গেছে। বাজারগুলোতে খাদ্য মজুত করতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন, আইইডিসিআর, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ কর্মকর্তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক ঘোস, আইইডিসিআর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।