করোনা আক্রান্ত গায়িকার নৈশপার্টিতে গিয়ে আইসোলেশনে ২ এমপি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২০ ০৫:৪০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৬ বার।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে প্রথম আক্রান্ত হয়েছেন বলিউডের ‘বেবি ডল’ খ্যাত গায়িকা কণিকা কাপুর। আর তার সংস্পর্শে এসে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে গেছেন তিন রাজনীতিবিদ।

তারা হলেন- রাজস্থানের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে ও তার পুত্র বিজেপি সংসদ সদস্য দুষ্মন্ত সিংহ ও তৃণমূল এমপি ডেরেক ও'ব্রায়েন।

জানা গেছে, গত ১৫ মার্চ লন্ডন থেকে লখনৌতে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে আসেন গায়িকা কণিকা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছেও তিনি কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে অস্বীকার করেন এবং তার লন্ডন ভ্রমণের কথা চেপেও যান।

শুধু তাই নয়, ওই দিনই একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে পার্টিরও আয়োজন করেছিলেন কণিকা। কণিকার বন্ধুরা ছাড়াও ওই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও উচ্চপদস্থ আমলারা।

এনডিটিভি জানিয়েছে, লখনৌতে ওই নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির বসুন্ধরা রাজে ও তার পুত্র সাংসদ দুষ্মন্ত সিংহ। কণিকার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে তৎপর হয়ে উঠেছেন তারা।

সুন্ধরা রাজে টুইট করে লেখেন, ‘লখনৌয়ে থাকাকালীন আমি একটি নৈশভোজে অংশ নিই আমার ছেলে দুষ্মন্ত ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে। কণিকা দুর্ভাগ্যজনক ভাবে করোনা আক্রান্ত হয়েছে। ও একজন অতিথি ছিল। সাবধানতা অবলম্বন করতে আমার ছেলে ও আমি তৎক্ষণাৎ নিজেদের কোয়ারান্টাইন করে রাখি। এবং আমরা অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছি।’

পার্টির পরে সংসদেও যান দুষ্মন্ত। এরপর ক্ষুব্ধ ডেরেক ও‘ব্রায়েন টুইট করে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি আগেই করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে সংসদ লকডাউন করার আর্জি জানিয়েছিলেন। তিনি নিজে কোয়ারেন্টিনের চলে যান।

ডেরেক টুইট করে লেখেন, ‘সরকার আমাদের সব রকম ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ঘরবন্দি করার আর্জি জানিয়েছেন। অথচ সংসদ চলছে। আমি অন্যদিন আড়াই ঘণ্টা দুষ্মন্তর পাশেই বসেছিলাম। আরও দুই সাংসদ আইসোলেশনে চলে গিয়েছেন। অধিবেশন বন্ধ করে দেয়া হোক।’

তবে কণিকা কাপুর সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টকে অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, তিনি ওই পার্টি আয়োজন করেননি। কিন্তু তিনি লখনৌতে এক জমায়েতে ছিলেন, যেখানে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা ছিলেন। সেখানে ছিলেন মন্ত্রী ও আমলারা। কোনো কোনো প্রতিবেদনের দাবি, সেখানে প্রায় ২০০ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

কণিকা জানান, মুম্বাই বিমানবন্দরে তাকে স্ক্রিনিং করা হলেও তার শরীরে করোনা সংক্রমণের কোনো চিহ্ন ধরা পড়েনি। কণিকা ইনস্টাগ্রামে মেসেজ করে জানিয়েছেন, তিনি লখনৌতে কিং জর্জেস মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসোলেশনে গিয়েছেন। তার শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর কণিকার বাবা-মাকেও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

গায়িকা পোস্টে লেখেন, গত চার দিন ধরে তার শরীরে ফ্লুয়ের লক্ষণ দেখা যাওয়ার পর তিনি পরীক্ষা করান এবং তখন তার শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার পরিবার এবং তিনি এখন কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কণিকা।