গত ১০০ বছরে বিশ্বে যেসব ভয়ংকর মহামারী হয়েছিল

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২০ ১৪:৫৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৪৩ বার।

করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিয়মিত প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। ভাইরাসটির কোনো ভ্যাকসিন না থাকায় ক্ষতির পরিমাণও বাড়ছে। মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ, আক্রান্ত হচ্ছে লাখ লাখ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসকে অনেকগুলো ভাইরাসের একটি বিস্তৃত গ্রুপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। যা সাধারণ সর্দি ও তীব্র শ্বাস কষ্ট থেকে শুরু করে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রোগের জন্ম দেয়। প্রাণঘাতি ভাইরাসটি আক্রান্ত ব্যক্তিকে অতি দ্রুত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত বিশ্বে ৯ হাজার ৮৪০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৩ জন।

বিগত ১০০ বছরে বিশ্বে বহু মহামারী ও ভাইরাস আক্রমণ করেছিল। এখানে সংক্ষেপে তার হিসাব দেয়া হল।

গুটি (১৯০০)

গুটি বিগত শতাব্দীতে বিভিন্ন সময় প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৫৬ মিলিয়ন মানুষের প্রাণহানি ঘটিয়েছিল।প্রধানত উত্তর আমেরিকায় এটির প্রার্দুভাব ঘটেছিল। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছিল।

স্প্যানিশ ফ্লু (১৯১৮- ১৯১৯)

এটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রধানত ইউরোপ পরে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে আধুনিক পরিসংখ্যান অনুসারে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন লোক সংক্রামিত হয়েছে এবং ৫০ মিলিয়ন থেকে ১০০ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে মারা যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যারা মারা গিয়েছিল তাদের দ্বিগুণের সমতুল্য।

এশিয়ান ফ্লু (১৯৫৬)

এই ধরণের ইনফ্লুয়েঞ্জা ১৯৫৬ সালে চীনে ছড়িয়ে পড়ে এরপর ১৯৫৭ সালে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমায়। সারা বিশ্বের প্রায় এক মিলিয়নেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয় রোগটিতে।

এইডস (১৯৮১)

প্রথম ১৯৮১ সালে আবিষ্কার করা হয়েছিল এই রোগটি। তখন থেকে রোগটি বিশ্বব্যাপী ২৫ মিলিয়ন থেকে ৩৫ মিলিয়ন লোকের জীবন নাশ করেছিল। এর মধ্যে ২০১৭ সালেই মারা গিয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার লোক। ২০০৪ সালে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৬.৯ মিলিয়ন মানুষ এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছিল।

সোয়াইন ফ্লু (২০০৯)

ভাইরাসটি শূকর থেকে মানবদেহে সংক্রামিত হয় এবং তা কৃষক পশুচিকিৎসকের মাধ্যমে ছড়ায়।২০০৯ সালে একটি গবেষণায় দেখা যায়,শূকরের সঙ্গে না মিশলেও এটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোয় এই মহামারী দেখা দিয়েছে। সেখান থেকে এটি বিশ্বের সমস্ত দেশে ছড়িয়ে পড়ে।১৮,৫০০ জনের প্রাণহানি ঘটায়। এতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১০ সালে জরুরি অবস্থা জারি করতেও বাধ্য হয়।

ইবোলা (২০১৪)

২০১৪ সালে পশ্চিম আফ্রিকাতে ভাইরাসটি দেখা দিয়েছিল এবং তারপরে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশ এবং বিশ্বের কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।

আল-খলিজ অনলাইন অবলম্বনে মুহাম্মাদ শোয়াইব