কেন সাবান, কেনই বা মাস্ক!

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২০ ১৬:০১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৪৮ বার।

সাবানের ফেনায় করোনাভাইরাসের বহিঃআবরন ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে মারা যায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাস, বিনষ্ট হয় তার সংক্রমন ক্ষমতা। অন্যদিকে রোগী যদি যথাযথ নিয়মে মাস্ক পরে তবুও করোনার সংক্রমন থেকে অন্যদের রক্ষা করা যায়।
একটু ব্যাখ্যা জেনে নেয়া যাক।
কাশির সময় ফুসফুসের বাতাসের সাথে প্রায় ৩০০০ কাশের কনা (ড্রপলেট) নির্গত হয়। এই কাশকনা ঘন্টায় প্রায় ৫০ মাইল বেগে মুখ থেকে নিঃসৃত হয় এবং কয়েকফুট দূরে গিয়ে পড়তে পারে।
হাঁচির ব্যাপারটা আরো ভয়াবহ। হাঁচির মাধ্যমে নাক মুখ থেকে ২০০ মাইল বেগে প্রায় ৪০ হাজার ড্রপলেট নির্গত হয়। এ যেনো রকেট গতি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর একবার হাঁচি বা কাশির সাথে প্রায় ২০০ মিলিয়ন (১ মিলিয়ন =১০ লাখ) ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশে ছড়িয়ে পড়া এই ড্রপলেটের ভেতর ভাইরাস কয়েক ঘন্টা সজীব থাকে এবং সুস্থ দেহে সংক্রমণ করতে পারে।
তবে রোগী যদি যথাযথ নিয়মে মাস্ক পরেন তবে তার নাক মূখ থেকে নিঃসৃত এই হাজার হাজার ভাইরাস মাস্কেই আটকা পড়ে যায়। আর রোগীর সামনে থাকা কেউ যদি মাস্ক পরে তাহলে তার সংক্রমনের আশংকা কমে যায়।
ডা. সাঈদ এনাম-লেখা অবলম্বনে।