করোনা মোকাবিলায় যে ১০ নির্দেশনা দিয়েছে সরকার

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২০ ১২:৩৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭২ বার।

দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার ১০ নির্দেশনা দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব নির্দেশনা তুলে ধরেন। খবর দেশ রুপান্তর

নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, ২৯ মার্চ থেকে ছয় দিনের জন্য সব অফিসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন, গণপরিবহন খোলা রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। 

সিদ্ধান্তগুলো হলো- 

প্রথম: ২৬ মার্চের সরকারি ছুটির সঙ্গে ২৭ ও ২৮ সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। তার সঙ্গে মিলিয়ে ২৯ মার্চ থেকে দোসরা এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকছে। তবে কাঁচাবাজার, হাসপাতাল, ঔষধের দোকানসহ জরুরি সেবার ক্ষেত্রে এগুলো প্রযোজ্য হবে না। জনসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, তারা যেন এই সময় খাদ্যদ্রব্য, ঔষধ ক্রয়, সৎকারের মতো জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনভাবেই বাড়ির বাইরে বের না হন।

দ্বিতীয়: এ সময়ের মধ্যে যদি কোনো অফিস-আদালতের কার্যক্রম করার প্রয়োজন পড়ে, তাহলে তাদের সেটি অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যারা প্রয়োজন মনে করবে, শুধুমাত্র তারাই অফিস খোলা রাখবে।

তৃতীয়: গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকবে। জনসাধারণকে যতটা সম্ভব গণপরিবহন পরিহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে গণপরিবহন ব্যবহার করবেন, তাদের অবশ্যই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেই গণপরিবহন ব্যবহার করতে হবে। গাড়িচালক ও সহকারীদের অবশ্যই গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। 

চতুর্থ: জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় এই ছুটিকালীন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিতভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশনা দেবে।

পঞ্চম: মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোয় সশস্ত্র বাহিনী জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য নিয়োজিত থাকবে। জেলা ম্যাজিস্টেটসহ তাদের নিজ নিজ এলাকার সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারদের কাছে চাহিদাপত্র দিয়ে সহায়তা গ্রহণ করবেন। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে সেনাবাহিনী।

ষষ্ঠ: করোনাভাইরাসের কারণে কোনো নিম্নআয়ের ব্যক্তি যদি স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম হন, তাহলে সরকারি ঘরে ফেরা কর্মসূচীর মাধ্যমে তারা নিজ নিজ গ্রামে গিয়ে বসবাস করতে পারবেন। এ জন্য জেলা প্রশাসকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সপ্তম: ভাসানচরে এক লাখ লোকের আবাসন ও জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সময়ে দরিদ্র আয়ের কোনো ব্যক্তি সেখানে গিয়ে এসব সুবিধা নিতে পারবেন।

অষ্টম: করোনাভাইরাস বিষয়ে নেয়া পদক্ষেপের কারণে যদি দরিদ্র মানুষের আয় রোজগারের সমস্যার সমাধান করার জন্য জেলা প্রশাসকদের খাদ্য ও আর্থিক সাহায্য দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তারা সমন্বয় করে নেবেন।

নবম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনকে নির্দেশনা দিয়েছেন যেন তারা ৫০০ চিকিৎসকের একটি তালিকা প্রস্তুত রাখেন। যাতে তাদের করোনাভাইরাস রোধে বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রয়োজন মতো ব্যবহার করা যায়।  

দশম: ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, জ্বর, সর্দি কাশি যাদের রয়েছে, তারা যেন মসজিদে না গিয়ে বাড়িতে নামাজ পড়েন।