এই তরুণীর বুদ্ধিতেই অর্ধশত বছর আগে আবিষ্কার হয়েছিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২০ ০৭:২১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭৬ বার।

করোনা আতঙ্কের এই সময়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা বেড়েছে ৪০০ গুন। কয়েক মাস আগেও কেউ ভাবতে পারেননি, রাতারাতি এর চাহিদা আকাশছোঁয়া হয়ে যাবে।
অর্ধশতক আগেও কেউ জানতো না হ্যান্ড স্যানিটাইজার কি? ঝুকিপূর্ণ কাজের মাঝে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া যেমন ছিল বিব্রতকর তেমনী সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। নার্সিংয়ের ছাত্রী লুপি হার্নান্ডেজ বিষয়টি নিয়ে বিস্তর ভাবলেন। জন্মসূত্রে লাতিন আমেরিকান এই তরুণীর মনে হয়েছিল, এমন কিছু যদি থাকত, যাতে সাবান পানি ছাড়াও ব্যস্ততার মধ্যে হাত পরিষ্কার করে নেওয়া যায়! তার এই ভাবনা থেকেই জন্ম নিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
আজ যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উঠে এসেছে প্রয়োজনের তালিকার শীর্ষে, তার আবিষ্কারক সেই লুপি হার্নান্ডেজকে আমরা আজ ভুলেই গেছি। খোঁজ করলে তার সম্বন্ধে খুব বেশি তথ্যও পাওয়া যায় না।
১৯৬৬ সালে লুপি নার্সিংয়ের ছাত্রী ছিলেন আমেরিকার বেকার্সফিল্ড শহরে। লুপির মনে হয়েছিল, হাতের কাছে সাবান এবং গরম পানি না থাকলেও তার বিকল্প হতে পারে অ্যালকোহল। তাঁর মাথায় আসে, যদি অ্যালকোহলকে থকথকে জেল-এর আকারে পেশ করা যায়, তা হলে কেমন হয়?
নিজের ভাবনাকে পেটেন্ট নথিভুক্ত করেন লুপি।
চুয়ান্ন বছর আগে লুপি ভাবতেও পারেননি তাঁর আবিষ্কার একদিন জীবাণু আতঙ্কে সমস্ত পৃথিবীর কাছে ত্রাতা হয়ে দেখা দেবে। প্রথমদিকে মূলত ডাক্তার, নার্স-সহ জনস্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল স্যানিটাইজারের ব্যবহার।
ক্রমেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার শুরু হয় মার্কিন সেনাবিভাগে। আমেরিকা ও ইউরোপে আমজনতার মধ্যে এর ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পায় এইচওয়ানএনওয়ান মহামারির সময় ২০০৯ সালে।  
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে এর ব্যবহার অনেক বেশি।
তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমনের আতঙ্ক একে রাতারাতি সর্বসাধারণের মুঠোবন্দি করে তুলেছে। করোনার দৌলতে বিশ্ববাজারে লিকুইড সাবান এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা বেড়েছে ৪০০ শতাংশ। বিদেশী পত্রিকা অবলম্বনে