ডিসি সুলতানাসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা, বেতনও বন্ধ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২০ ০৯:১৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৭ বার।

মধ্যরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে সাংবাদিক আরিফুলকে মারধর করে তুলে নিয়ে সাজা দেয়ার ঘটনায় কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) ও তার কার্যালয়ের সাবেক তিনজন সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের চাকরি থেকে কেন বরখাস্ত করা হবে না- তা জানতে চেয়ে নোটিশও পাঠানো হয়েছে বলে  জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন।

 

গত সোমবার (২৩ মার্চ) কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার-রাজস্ব (আরডিসি) নাজিম উদ্দীন, সহকারী কমিশনার (এসি) এসএম রাহাতুল ইসলাম এবং সহকারী কমিশনার (এসি) রিন্টু বিকাশ চাকমাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।

জানতে চাইলে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, তাদের ১০ দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

পরবর্তী পদক্ষেপ না নেয়া পর্যন্ত এ চার কর্মকর্তার বেতন বন্ধ থাকবে কিনা জানতে চাইলে সচিব বলেন, আগের কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত রাখায় এ চার কর্মকর্তা এখন বেতনভাতা পাচ্ছেন না। যখন তাদের ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হবে তখন তারা বেতন পাবেন।

পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে চার কর্মকর্তা জবাব দিতে না পারলে তারা সময় চাইতে পারবেন বলেও জানান জনপ্রশাসন সচিব।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় প্রথম পর্যায়ে তাদের প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। এরপর ১০ দিনের মধ্যে কার্রণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত ১৩ মার্চ মধ্যরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে। তার বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়। এরপর গভীর রাতে জেলা প্রশাসকের অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক বছরের দণ্ড দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পরে ওই সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৫ মার্চ বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদ জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা নেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আরিফুলের ওই সাজার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিতও করেছেন আদালত।

এ ঘটনায় কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এসএম রাহাতুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।