লকডাউনে ছেলেকে কাঁধে নিয়ে ২ দিন হাঁটলেন বাবা

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২০ ১০:৩৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫৭ বার।

বান্টি। পেশায় দিনমজুর। ভারতের উত্তরপ্রদেশ থেকে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। কিন্তু লকডাউনের ফাঁদে পড়ে পরিবার নিয়ে তিনি পড়েন মহাবিপদে । শেষ পর্যন্ত উপায় না পেয়ে ১০ মাসের ছেলেকে কাঁধে তুলে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটতে শুরু করেন বাড়ির পথে। টানা দুদিন হাঁটার পর তিনি পৌঁছান নিজের গ্রামে।

বান্টির মতো একই অবস্থা দেশটির আরও অনেকেরই। করোনভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গোটা ভারতে চলছে ২১ দিনের লকডাউন । মঙ্গলবার রাতে গোটা দেশে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

লকডাউনের এই ঘোষণায় দেশটির বিভিন্ন এলাকায় আটকা পড়েন বহু মানুষ। বিশেষ করে কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে যাওয়া অনেকেই পড়েছেন চরম বিপদে। কারও কারও আবার হাতের টাকাও ফুরিয়ে এসেছে।  এ অবস্থায় ২১ দিন কীভাবে কাটাবেন তা নিয়ে চিন্তিত অনেকে।

বান্টি জানান, লকডাউনের ২১ দিন দিল্লিতে কীভাবে কাটবে সেটা ভেবেই তিনি স্ত্রী আর ছেলেকে নিয়ে ১৫০ কিলোমিটার দূরে নিজের গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।

বান্টির স্ত্রী বলেন, ’আমরা এখানে কী খাব? কেউ তো আর পাথর খেতে পারে না’।  তাদের অভিযোগ, লকডাউনের এই পরিস্থিতে দিল্লিতে তাদের কেউ কোন সাহায্য করেনি। তাই নিরুপায় হয়েই হেঁটে গ্রামে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তারা।

লকডাউনের ঘোষণার সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ’আগামী ২১ দিনের মধ্যে বাড়ির চৌকাঠ পেরোনোর কথা ভুলে যান । কারণ আপনি এই লক্ষ্মণ রেখা পার হলে ভাইরাসটিকে বাড়িতে আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসবেন’ । এ সময় তিনি করোনার ভয়াবহতার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ’এই ভাইরাস থেকে লড়াইয়ের একমাত্র উপায় সামাজিক দূরত্ব। এই নিয়ম মানতে হবে দেশের প্রতিটি নাগরিক, প্রতিটি পরিবার, প্রতিটি সদস্যকে, এমনকী দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও’।

ভারতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪ জন। অন্যদিকে আক্রান্ত হয়েছেন ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ।