বগুড়ায় ওরসে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সাবেক দুই কাউন্সিলরসহ পৌণে ২০০জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২০ ১০:৩৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯৯ বার।

বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জপাড়ায় মাজারে ওরস আয়োজনে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পৌণে দু’শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতের ওই ঘটনয় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাবেক দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম নয়ন এবং নুরুল আমিনসহ ২৪জনকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে চালান করা হয়েছে। 
উপশহর ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল গফুরের দায়ের করা মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় গ্রেফতার ২৪জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও দেড়শ’জনকে আসামী করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রয়াত ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের বাবা সিরাজুল হক ওরফে মোস্তা হুজুর একজন পীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শহরের সুলতানগঞ্জ এলাকায় নিজ বাড়িতে তাঁর কবর রয়েছে। তার ওফাত বা মৃত্যু দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর ২৫ মার্চ রাতে ওরস মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওই ওরসে বগুড়াসহ আশ-পাশের জেলাগুলো থেকে মরহুম সেই পীরের অনুসারীরা উপস্থিত থাকেন।
প্রতিবছরের মত এবারও বুধবার রাতে ওরসের আয়োজন করা হয়। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এ ধরনের আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপশহর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নান্নু খান এবং অ্যাসিসটেন্ট সাব ইন্সপেক্টর জাহিদুল ইসলাম জাহিদ সেখানে গিয়ে ওরস বন্ধ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মরহুম ওই পীরের অনুসারীরা ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বেধড়ক পেটায়। এতে দু’জনেরই হাত ভেঙ্গে যায়। খবর পেয়ে  অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে এবং হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১নং ওয়ার্ডের সাবেক দুই কাউন্সিলর নুরুল আমিন ও শফিকুল ইসলাম নয়নসহ ২৪জনকে গ্রেফতার করে।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানান, ওই হামলার ঘটনায় উপশহর ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল গফুর বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেফতার ২৪জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০জনকে আসামী করা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রেফতার আসামীদের আদালতে পাঠানো হচ্ছে।