৩০জনের চিকিৎসকের প্যানেল

বগুড়ায় করোনা সন্দেহভাজন রোগীর জন্য প্রস্তুত মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল 

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২০ ১১:৩৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৮২ বার।

করোনাভাইরাসের উপসর্গযুক্ত বা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের ১২০ শয্যাকে প্রস্তুত করা হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে আরও ৬০ শয্যা প্রস্তুত করা হবে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলেও করোনা সন্দেভাজনদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে দু’টি শয্যার মধ্যে প্রায় ২ মিটার দূরত্ব রাখা বাধ্যতামূলক হওয়ায় শয্যা সংখ্যা কিছুটা কমেছে। 
এদিকে বগুড়ায় বুধবার বিকেল ৫টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ১২৯জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছেন। একই সময়ে কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১০৩জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ফলে এপর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া ৮৫৬জনের মধ্যে বর্তমানে ৭৫৩জন নিজ নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন। 
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে গত ২৪ মার্চ বগুড়ার ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে আইসোলেশন ইউনিট ঘোষণা করা হয়। এজন্য ওই হাসপাতালে ভর্তি সবরোগীকে ছুটি দেওয়া হয় এবং বহির্বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রমও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দু’দিন ধোয়া-মোছার কাজ শেষে ২৬ মার্চ হাসপালটিকে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়।
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৩০জনের একটি চিকিৎসক প্যানেল করা হয়েছে। মোহাম্মদ আলী ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের ওই প্যানেলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্সসহ অন্যান্য স্টাফদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাদের জন্য পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট বা পিপিইও রাখা আছে। তিনি বলেন, সর্দি-কাশির চিকিৎসার জন্য কাউকে যাতে হাসপাতালে আসতে না হয় সেজন্য হট লাইন খোলা হয়েছে। এতে ৫জন চিকিৎককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যে কেউ তাদের সেল ফোনে কল দিয়ে সেবা নিতে পারবেন।
এদিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য জেলার ১২টি উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৩০০ শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গাওসুল আজিম চৌধুরী জানান, যখনই প্রয়োজন হবে তখনই যাতে এসব সেন্টারে যে কাউকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে।