স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দফতরের কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২০ ১৬:৩৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮১ বার।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দফতরের এক কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার আইইডিসিআরের ব্রিফিংয়ে যে পাঁচজন নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ওই কর্মকর্তা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র খবরটি নিশ্চিত করেছে।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষপর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে যেতে বলা হয়েছে। খবর যুগান্তর অনলাইন

এর আগে ওই কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি শনাক্তের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরে যোগাযোগ করেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষপর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

এদিকে করোনাভাইরাস নিয়ে দেশের সবশেষ পরিস্থিতি জানাতে বৃহস্পতিবার বিকালে অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, নতুন আক্রান্তদের সবাই পুরুষ। তাদের মধ্যে দুজনের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। আর একজন আছেন ষাটোর্ধ্ব। এ নিয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে বাংলাদেশে সর্বমোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে।

এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জন রোগী সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন বলেও জানিয়েছেন আইইডিসিআর পরিচালক। তিনি বলেন, নতুন ৫ জনের একজন বিদেশ থেকে আসা। আর তিনজন আগেই চিহ্নিত রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন। একজনের আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে। নতুন এই পাঁচ রোগীর মধ্যে চারজনের লক্ষণ মৃদু এবং একজনের মধ্যে কোমরবিডিটি (দীর্ঘমেয়াদী অন্য রোগ) আছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ ভাইরাস প্রতিরোধে কাশির শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। ঘন ঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। অপরিষ্কার হাতে নাক-মুখ-চোখ স্পর্শ করা যাবে না। সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছি। আর সর্বমোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৯২০ জনের। এর আগে পাঁচজনের কথা আমরা বলেছিলাম, যারা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। বাকিরা সবাই হাসপাতালে কিংবা বাড়িতে আছেন। কারণ তাদের সবার অসুস্থতার মাত্রা হচ্ছে মৃদু।