করোনা: শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ রংপুর বিভাগীয় শিশু সুরক্ষা নেটওয়ার্কের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২০ ১৩:৪৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০০ বার।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিশুদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিতে ৭দফা প্রস্তাবনার মাধ্যমে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আন্তজার্তিক ও স্থানীয় মোট ১৭টি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত রংপুর বিভাগীয় শিশু সুরক্ষা নেটওয়ার্ক।
টেলি-কনফারেন্সের মাধ্যমে উক্ত নেটওয়ার্ক এর সদস্য ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, প্লান বাংলাদেশ, এ্যাকশন এইড, ল্যাম্ব বাংলাদেশ, লাইট হাউস, ব্লাস্ট রংপুর, দেবিচৌধুরাণী, রুপান্তর, ইএসডিও, প্রফিট, আরডিআরএস. পল্লিশ্রী, ঢাকা আহসানিয়া মিশন, ইউএসএস, ডিবিএলএম, সিভিক ফাউন্ডেশন ও শিশু ফোরাম নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিয়ম শেষে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শুক্রবার রংপুর শিশু সুরক্ষা জোটের সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন জানান, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ হয়েছে শুক্রবার পর্যন্ত এদেশে আক্রান্ত হয়েছে মোট ৪৮ জন যার মাঝে মারা গেছে ৫ জন। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই নানামুখী প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পাশাপাশি এনজিওগুলোও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৬০ মিলিয়নেরও বেশী শিশু বসবাস করছে যার একটি বিরাট অংশ বসবাস করছে রংপুর বিভাগে। প্রায় সব ধরণের দুর্যোগ বা মহামারীতে সবচেয়ে বেশী ঝুঁকির মাঝে পরে শিশু ও নারীরা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শিশুরা যেহেতু দীর্ঘ সময় বাড়িতে থাকবে, এতে তাদের ওপর শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন বেড়ে যেতে পারে। সব বিধি-নিষেধ মেনে চলার পাশাপশি শিশুদের যাতে সব ধরনের সহিংসতা থেকে মুক্ত রাখা যায়, তাইতো প্রশাসনের কাছে শিশুদের সর্বোচ্চ সুরক্ষায় উক্ত জোটের পক্ষ থেকে ৭টি বিষয়ে বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সুপারিশসমূহ হচ্ছে, করোনা নিয়ন্ত্রণে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সেগুলোতে শিশুর সর্বোচ্চ স্বার্থ ও সুরক্ষা যেন বিবেচনায় রাখা হয় এবং শিশুবান্ধব হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখা, করোনা থেকে বাঁচার জন্য এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে মাইকের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা প্রদান করা, সকল ধরনের পরিকল্পনার ক্ষেত্রে যেন জেন্ডার বিবেচনায় আনা হয়। ছেলে ও মেয়ে শিশুর জন্য হাসপাতালগুলোতে ও যেন আলাদাভাবে স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা করা হয়, শিশুর জন্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং বিশেষ করে শিক্ষকদের নজরদারিতে রাখা, এই সংকটে যারা খাদ্যাভাবে থাকবে, সেইসব পরিবার বাছাই করা এবং তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা, রংপুর বেতারের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা বা তথ্য প্রচার করা, একই সাথে পথ শিশু, এতিম শিশু, প্রতিবন্ধী শিশু ও শ্রমজীবী শিশুদের কথা ও যেন বিবেচনায় রাখা হয় এবং সেইমত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার উদ্বার্ত আহব্বান জানানো হয় শিশু সুরক্ষা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।