নওগাঁয় ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৫৫১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে; ছাপড়পত্র পেল ২৪২

নওগাঁ জেলার ১১ উপজেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৫৫১ জনকে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ থেকে শনিবার বেলা ১১ টা পর্যন্ত টা পর্যন্ত সময়ে এই ৫৫১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এই সময়ে ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২৪২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এ জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৮৩৮ জন। 
এ জেলায় এ পর্যন্ত সর্বমোট হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল ১ হাজার ৮৭৮ জনকে। এদের মধ্যে সর্বমোট ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ হাজার ৪০ জন। 
নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর এ মোর্শেদ জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৮৩৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্য নওগাঁ সদর উপজেলায় ২০০ জন, রানীনগর উপজেলায় ৬৬ জন, আত্রাই উপজেলায় ৮২ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ৯৫ জন, মান্দা উপজেলায় ৯০ জন, বদলগাছি উপজেলায় ৩৩ জন, পত্নীতলা উপজেলায় ১১৯ জন, ধামইরহাট উপজেলায় ৫৮ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ৩৮ জন, সাপাহার উপজেলায় ৩৭ জন ও পোরশায় ২৩জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে। 
নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর এ মোর্শেদ বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে প্রত্যেককে ১৪ দিন থাকতে হবে। এ সময়ের মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষন দেখা দিলে তারা মোবাইলে সরাসরি সিভিল সার্জনের অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রত্যেককে বাইরে চলাফেরা না করে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সব সময় তাদের দেখভাল করা হচ্ছে। মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত আছে। গুরুত্বর কিছু হলে জরুরী ভিত্তিতে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, সরকার কর্ত্তৃক সাধারন ছুটি ঘোষিত হওয়ায় এবং লকডাউন ঘোষনা না হলেও নওগাঁ শহরের রাস্তাঘাট যানবাহন এবং জনশুন্য হয়ে পড়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘরের বাইওে আসছেন না। শহরের রাস্তায় দু’একটি মোটর সাইকেল, রিক্সা, ভ্যান, অটোচার্জার এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া কোন জন পরিবহন চলছেনা। মুদি দোকান এবং ওষুধের দোকান ছাড়া সকল দোকান পাট, হোটেল রেঁস্তোরা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।  নওগাঁ শহরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল অব্যাহত আছে।