জ্বর-গলা ব্যথায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু, পুরো গ্রাম লকডাউন

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় জ্বর-সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথায় ভুগে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর পর পুরো গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ওই স্কুলছাত্রের পরিবার ও আশপাশের কয়েকটি পরিবারকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। খবর দেশ রুপান্তর 

উপজেলার দক্ষিণ ধাওয়া গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে সবুজ হাওলাদার (১৮) নামের ওই স্কুলছাত্রটি মারা যান। পরিবারের সদস্যরা জানান, সে চার দিন ধরে জ্বর-সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথায় ভুগছিলেন। সে ধাওয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্ব ধাওয়া গ্রামের আ. আজিজ হাওলাদারের ছেলে। সবুজ এ বছর দক্ষিণ ধাওয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

এদিকে মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন সবুজ ও তার আশপাশের বাড়ির লোকদের কোয়ারেন্টাইন করে এবং ওই গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করেছে।

পরিবারের বরাত দিয়ে ধাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান টুলু জানান, সবুজ চার দিন ধরে জ্বর-সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথায় ভুগছিল। সকালে মোবাইল ফোনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের সঙ্গে তার পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। তবে তারা ছেলেটিকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।

ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম বলেন, সবুজের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে আমি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এইচ এম জহিরুল ইসলামসহ উপজেলা প্রশাসনের একটি দল সবুজদের বাড়িতে যাই।

মিরাজুল ইসলাম জানান, লকডাউন এলাকার ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের খাবারের দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম বলেন, সবুজের বাড়ি ও তার আশপাশের বাড়ির লোকদের কোয়ারেন্টাইন করে ওই গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এইচ এম জহিরুল ইসলাম জানান, সবুজ করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছে কিনা জানতে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।