নওগাঁয় এক নারীর ফোন পেয়ে ৭দিনের খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ছুটে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২০ ১৩:২৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৬ বার।

কর্মহীন অভুক্ত নারীর ফোন পেয়ে ৭দিনের খাদ্যসামগ্রী নিয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ এর নির্দেশে ওই নারীর বাসায় ছুটে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার দাস। মাত্র আধা ঘন্টার ব্যবধানে ওই নারীর বাড়িতে খাবার সামগ্রী নিয়ে উপস্থিত হওয়ায় ওই পরিবার ও মহল্লার বাসিন্দারা বিস্মিত হয়ে পড়েন। বৃধবার সকাল ১০ টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘঠেছে।  
জানা গেছে, নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের রিকসা চালক সেকেন্দার আলী ও তার স্ত্রী মুক্তা পারভীন অন্যের বাসায় ঝি এর কাজ করতো। করোনা ভাইরাসের কারনে দুই স্বামী-স্ত্রী কর্মহীন হয়ে পড়ে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেকেন্দার আলী  অর্দ্ধহারে-অনাহারে কয়েক দিন ধরে কোন রকমে দিন অতিবাহিত করছিলেন।  বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ ওই নারীর ফোন পান। তিনি বলেন, আমরা খুব কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। আমাদের খাদ্যের প্রয়োজন। সাথে সাথে জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদের নিদের্শে  ৭দিনের খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উত্তম কুমার ওই নারীর বাসায় ছুটে যান। মাত্র এক ঘন্টার ব্যবধানে ৭ দিনের খাবার পেয়ে মুক্তা পারভীন ও তার স্বামী সেকেন্দার আলীসহ প্রতিবেশীরা অবাক হন। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ২০ কেজি চাল, ২কেজি আলু, ২ কেজি আটা, ২ কেজি ডাল, তেল ১লিটার, চিনি, লবন, সাবান, নডুলসসহ ইত্যাদি জিনিষপত্র।
এ ব্যাপারে মুক্তা পারভীন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এত খাদ্য সামগ্রী এত তাড়াতাড়ি পাব আমি ভাবতেও পারিনি। আমি কিভাবে কৃতজ্ঞতা জানাবো আমার কোন ভাষা নেই। ফোন করার আধাঘন্টা পরেই বাড়ীতে বসেই এত খাবার পাব আমি কোনদিন কখনই ভাবতে পারিনি। 
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার জানান, এই সরকারের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হলো একটি লোকও না খেয়ে থাকবে না। এটা মানণীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার। এই করোনাভাইরাসের কারনে কর্মহীন মানুষরা কর্ম করতে না পারায়,তারা না খেয়ে থাকবে এটা হতে পারে নাই। তাই জেলা প্রশাসকের কাছে ফোন করা মাত্রই তার নির্দেশে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তার বাড়িতে চলে এসেছি। এটা সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে আমার কর্তব্য বলে মনে করছি।