বড় মসজিদের খুৎবা : অভাবী ইয়াতীম ও আত্মীয়কে দান করতে হবে

আমিনুর রহমান :
প্রকাশ: ২৫ মে ২০১৮ ১১:১৪ ।
আলোচনা
পঠিত হয়েছে ৭৭৫ বার।

আজ ২৫ মে, ৮ রমজান।

রমজানের দ্বিতীয় জুম’আয় বগুড়া কেন্দ্রীয় বড় মসজিদের বাংলা খুৎবায় পবিত্র কোরআন শরীফের ৯০নং সূরা বালাদ-এর প্রথম থেকে ২০ নম্বর আয়াত তেলাওয়াত করা হয়। বগুড়া কেন্দ্রীয় বড় মসজিদের খতিব মাওলানা আজগর আলী একে একে আয়াতগুলো পাঠ করেন। যার অর্থ হলোঃ (১) আমি শপথ করছি এ শহরের, (২)তুমি এ শহরে অবতরণ করেছে (অধিবাসী হয়েছ), (৩) আর শপথ জনকের এবং সে যা জন্ম দিয়েছে তার। (৪) নিশ্চয় মানুষকে আমি সৃষ্টি করেছি দুঃখ-কষ্টের মধ্যে। (৫) সেকি এ ধারণা করে যে, তার উপর আর কেউ ক্ষমতাবান হবে না?(৬) সে বলে, “আমি বহু ধন সম্পদ অপচয় করেছি।” (৭) সে কি ধারণা রাখে যে, তাকে কেউ দেখেনি? (৮) আমি কি তার জন্য দুটো চোখ প্রদান করিনি?(৯) এবং প্রদান কি করিনি জিহবা ও দুটো ঠোঁট? (১০) আর আমি কি তাকে দুটো পথ (ভাল-মন্দ) প্রদান করিনি? (১১) কিন্তু সে কষ্টসাধ্য পথটি অবলম্বন করেনি?(১২)তুমি কি জান, কষ্টসাধ্য পথটি কি? (১৩) তা হচ্ছে গোলাম আজাদ করা (১৪) অথবা অভাবের সময় খাবার দান করা, (১৫) ইয়াতীম আত্মীয়কে, (১৬) বা অসহায় (সর্বহারা) দরিদ্রকে, (১৭) অতঃপর সে ব্যক্তি তাদের (দলে) অন্তর্ভূক্ত হয়, যারা ঈমান এনেছে ও একে অপরকে উপদেশ দেয় ধৈর্য্য ধারণের এবং (উপদেশ দেয়) পরস্পর দয়ার ব্যাপারে।(১৮) এরাই হচ্ছে ডান দিকের (ভাগ্যবান) দল।(১৯) আর যারা অবিশ্বাস করে আমার আয়াতসমূহ, তারা হচ্ছে হতভাগা দল। (২০)তাদের উপর আগুন তাদের চারদিক পরিবেষ্টিত হয়ে থাকবে।

মূলত রমজান মাসে দান-খয়রাতের গুরুত্ব তুলে ধরতেই ওই সূরাটি মুসল্লীদের সামনে তেলাওয়াত করা হয়েছে। আলোচ্য আয়াতে মহান রাব্বুল আলামীন মানুষের সৃষ্টি রহস্য এবং তার দায়িত্ববোধের কথা স্মরণ করে দিয়েছেন। ভাল এবং মন্দ দু’টি পথের মধ্যে কষ্টসাধ্য হলেও ভাল পথে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। আলোচ্য আয়াতে অভাবের সময় মানুষকে খাবার দান করা, ইয়াতীম আত্মীয় বা অসহায় দরিদ্রকে সহায়তা করতে বলা হয়েছে। যারা এগুলো করবে তারা ঈমানদার তথা ভাগ্যবানদের দলভুক্ত হবে। পক্ষান্তরে যারা পবিত্র কোরআনের আয়াতসমূহ অস্বীকার করে তাদের হতভাগা উল্লেখ করে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন বলেছৈন, তাদের উপর আগুন তাদের চারদিক পরিবেষ্টিত হয়ে থাকবে।

কেন্দ্রীয় বড় মসজিদের খতিব  আজগর আলী উপরের ওই আয়াত ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘রমজান মাস রহমতের মাস। তাছাড়া অন্য যে কোন মাসের চেয়ে এ মাসে যে কোন ভাল কাসে ৭০গুণ বেশি সাওয়াব পাওয়া যায়। যেহেতু আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে অভাবী লোকজনদের দান করতে নির্দেশ দিয়েছেন আমরা রমজান মাসে বেশি বেশি দান-খয়রাত করবো। তাহলেই আমরা কামিয়াব হবো।’