সীমাবাড়ী স্টুডেন্টস্‌ অ্যাসোসিয়েশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

অরূপ রতন শীল
প্রকাশ: ২৫ মে ২০১৮ ১১:৪৬ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে ৫১৪ বার।

‘সবে মাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করেছি। কিন্তু এর পর কোথায়, কিভাবে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করবো এই ব্যাপারে ঠিক জানা নেই’-এভাবেই বলছিল, হাসান আরিফ। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নে বসবাসরত তার মত অনেক শিক্ষার্থীর মনে মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষা নিয়ে ভীতি রয়েছে। বিষয়টি উপলব্ধি করেন সেখানকার বিশ্ববিদ্যাল পড়ুয়া এক ঝাঁক তরুন মেধাবী শিক্ষার্থী। তারা ওদের ভয় তাড়ানোর পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের যোগ্য করে গড়ে তোলারও সিদ্ধান্ত নেন। দু’ বছর আগে তারা একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। যার নাম দেওয়া হয় করেন ‘সীমাবাড়ী স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’। ২০১৬ সালের ৫ জুলাই সীমাবাড়ী মদন বাবুর মাঠে গঠিত ওই সংগঠনের শ্লোগন ঠিক করা হয় ‘শিক্ষা সংস্কৃতি সংস্কার, হোক মোদের অঙ্গীকার’।
অরাজনৈতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব নিয়ে কাজ শুরু করা এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করা। এছাড়াও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ব্যবস্থা, বাল্যবিবাহ রোধ, মাদকাসক্তি দূর, ইভটিজিং বন্ধ, শিক্ষার প্রসারে কাজ করা। শুরুতে ১৮জন নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এখন ওই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ৫৪ জন।  

প্রথম বারের মত এই সংগঠনের পক্ষ থেকে ২৫ মে শুক্রবার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। সীমাবাড়ী সেতারা রব্বানী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৃত্তি পরিক্ষায় ৫ম থেকে ১০ম শ্রেণির মোট ২৯৮ জন অংশগ্রহণ করে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং সাধারন জ্ঞানের উপর ৩ ঘন্টার মেধা যাচাই পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।সংগঠনের সভাপতি মামুনুর রশিদ বলেন, ‘মূলত শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই এবং দেশের বিভিন্ন পাবলিক পরিক্ষায় অংশগ্রহণে ভীতি কাটানোর জন্যই এই উদ্যোগ এবং প্রতিটি শ্রেণি থেকে ফার্স্ট, সেকে- এবং থার্ড-এভাবে তিন জন করে মোট ১৮ জন কে বৃত্তি প্রদান করা হবে।’
বৃত্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া শাখার সাবেক যুগ্ম পরিচালক আব্দুর রউফ খান, সরকারি আজিজুল হক কলেজের প্রভাষক মোস্তফা কামাল সরকার, সীমাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন সরকার, সাবেক প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন এবং আব্দুল্ কাদের তালুকদার।