অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করলো স্বাস্থ্য দপ্তর

বগুড়ায় আইসোলেশনে থাকা রংপুরের সেই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২০ ১৫:৪১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৯৭ বার।


বগুড়ায় আইসোলেশনে থাকা ৪ রোগীর মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত। শনিবার রাত ৯টার দিকে বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা.গওসুল আজিম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঢাকা থেকে রংপুরে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে গত ২৯ মার্চ ভোরে যিনি জ্বর ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে বগুড়ায় নেমেছিলেন তিনিই করোনা আক্রান্ত বলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের নিশ্চিত করেছেন।
ডা. গাওসুল আজিম চৌধুরী বলেন, বগুড়ায় আইসোলেশনে থাকা ৪জন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত এক কিশোরসহ মোট ৫জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছিল। তবে উল্লেখিত রংপুরের সেই বাসিন্দা ছাড়া বাকিরা কেউ করোনা আক্রান্ত নন। 
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, রংপুরের ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি পরীক্ষার পর গত ২ এপ্রিল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হন। কিন্তু সরকারের রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিার) তাকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করা হবেÑ এমন সিদ্ধান্তের কারণে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এতদিন ঘোষণা দেওয়া হচ্ছিল না। তবে বিষয়টি আর গোপন থাকেনি। আইসোলেশনে নেওয়ার আগে তাকে যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সেই বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার আক্রান্তের বিষয়টি জেনে যান। এজন্য তাঁর ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়া ৫ চিকিৎসক ও ৮ নার্সসহ মোট ১৬জনকে পরদিন শুক্রবার কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ওই রোগীকে আইসোলেশন সেন্টারের অন্য রোগীদের থেকে পৃথক রাখা হয়।
রংপুরের ওই ব্যক্তি গায়ে জ্বর ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে গত ২৮ মার্চ রাতে ঢাকা থেকে ট্রাকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। তবে জ্বরসহ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে ২৯ মার্চ ভোরে তিনি বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকায় নেমে যান। এরপর স্থানীয় এক সাংবাদিক পুলিশের সহযোগিতায় তাকে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখান থেকে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। শ্বাস কষ্টের পাশাপাশি ওই ব্যক্তি নিজেকে হৃদরোগী হিসেবে পরিচয় দিলে কর্তৃপক্ষ তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করান। কিন্তু তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে পরদিন ৩০ মার্চ তাকে আইসোলেশন ইউনিট বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১ এপ্রিল অন্য রোগীর সঙ্গে তার নমুনাও রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গাওসুল আজিম চৌধুরী জানান, করোনা সনাক্ত হয়নি কিন্তু সন্দেহভাজন হিসেবে ইতিপূর্বে যাদের বাড়ি-ঘর লকডাউন করা হয়েছিল সেগুলোর প্রত্যাহার করা হবে। করোনা সনাক্ত না হওয়া সত্তে¡ও বাকি ৪জনকে আইসোলেশনে রাখা হবে কি’না-এমন প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন ডা. গাওসুল আজিম চৌধুরী বলেন, ‘সেটা আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিব।’