প্রথম নারী ব্যালন ডি’অরেই যৌন হয়রানি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৮:১১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৭ বার।

দিনটা নারী ফুটবলের জন্য ঐতিহাসিক। সতর্ক বার্তাও বটে। নারী ফুটবলকে এগিয়ে নিতে চালু হয়েছে ব্যালন ডি’অর। পুরুষের ফুটবলে যা ১৯৫৬ সাল থেকেই চালু আছে। প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে নরওয়ের আডা হেগেরবার্গ ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। আর পুরস্কার নিতে গিয়ে পড়েছেন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হেগেরবার্গকে নাচতে বলে তাকে যৌন হেনস্তা করেন।

সোমবার প্যারিসে এক জমকালো অনুষ্ঠানে ব্যালন ডি’অরের অভিষেক ট্রফিটা ছুয়ে দেখেন ফ্রান্স ক্লাব লিঁও নারী ফুটবলার আডা হেগেরবার্গ। গেল মৌসুমে তিনি লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। কিন্তু তার ক্যারিয়ার ও ফুটবলের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিতদেরও অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ডিজে মার্টিন সলভেইগ।

ট্রফি জয়ের পর মঞ্চে আসা হেগেরবার্গকে নাচতে বলেন ডিজে। কিন্তু সে নাচে ছিল বিশেষ ইঙ্গিত। অর্থাৎ হেগেরবার্গকে ‘টুয়ের্ক’ বা কোমর দুলিয়ে যৌন উত্তেজক নাচ দেখাতে বলেন তিনি।

ডিজের সঙ্গে আডা হেগেরবার্গ। ছবি: এএফপি

নারী এই ফুটবলার তাৎক্ষণিক প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে মঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছিলেন। রাগে-ক্ষোভে একটু নাচেনও তিনি। পরে অবশ্য সলভেইগ ক্ষমা চেয়েছেন হেগেরবার্গের কাছে। পরে এই নারী ফুটবলার বলেন, ‘ব্যাপারটা যৌন হয়রানি হিসেবে দেখছি না। ব্যালন ডি’অরের আনন্দটা উপভোগ করতে চাই।’ 

তবে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাকে ‘টুয়ের্ক’ করতে বলা ফুটবলের একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা বলে উল্লেখ করেন এক ফুটবল ব্লগার। ফুটবলের এক আরজে অ্যালেন লিখেছেন, ‘সলভেইগের সৌভাগ্য যে আডা তাঁকে লাথি মেরে গোলপোস্টে পাঠায়নি!’

তিনবারের গ্রান্ড স্লামজয়ী ব্রিটিশ টেনিস তারকা অ্যান্ডি মারে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনে এখনো যৌন হয়রানি আছে। এমবাপ্পে ও মদরিচকে কি প্রশ্ন করা হয়েছে ভাবুন? ওটা স্রেফ মজা...না? নাহ, ব্যাপারটা একটু অন্য।’