করোনা মহামারীতেও বিলিয়ন ডলার আয় যাদের

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২০ ১৪:০৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৯ বার।

নভেল করোনাভাইরাসে গোটা পৃথিবী ধুঁকতে থাকলেও আমেরিকার এক শতাংশ মানুষের আয় থেমে নেই। ইন্সটিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী,  ১৮ মার্চ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যামাজন বস জেফ বোজোস এবং জুমের প্রতিষ্ঠাতা এরিক ইউয়ানের মতো বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ৩০৮ বিলিয়ন ডলার অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়েছেন।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে প্রায় ২৬ মিলিয়ন মানুষ ইতিমধ্যে চাকরিহারা হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকার নামকরা আট ব্যবসায়ী প্রত্যেকে ১ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক হয়েছেন। এরিক এবং বোজোস বাদে এই তালিকায় বহুল পরিচিত ব্যক্তিদের মধ্যে নাম আছে মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান স্টিভ বলমার, টেসলা এবং স্পেসএক্সের ইলন মাস্কের।

আধুনিক যুগে প্রযুক্তি ভিত্তিক ব্যবসা ছাড়া সফল হওয়া যাবে না, এমন কথা বিশেষজ্ঞরা কয়েক বছর ধরে বলছেন। যারা এই দুর্দিনে ব্যবসা করে যাচ্ছেন তাদের অধিকাংশ প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যবসায়ী।

কিন্তু এর উল্টো চিত্রও আছে। অনেক দেশে ছোট ছোট স্টার্টআপ কোম্পানি দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।

জরিপে দেখা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ এপ্রিলের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪ জন বিলিয়নিয়ারের সম্পদের পরিমাণ অন্তত কয়েক কোটি ডলার করে বেড়েছে। এর মধ্যে যে আট বিলিয়নিয়ারের সম্পদ ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি করে বেড়েছে, তারা হচ্ছেন জেফ বেজোস (অ্যামাজন), ম্যাকেঞ্জি বেজোস (অ্যামাজন), এরিক ইউয়ান (জুম), স্টিভ বলমার (মাইক্রোসফট), জন আলবার্ট সবরাটো (সিলিকন ভ্যালি রিয়াল এস্টেট), ইলন মাস্ক (টেসলা ও স্পেসএক্স), জশুয়া হ্যারিস (অ্যাপোলো গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট) ও রকো কমিসো (মিডিয়াকম)।

এর মধ্যে অ্যামাজনের ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারের মালিক বেজোসের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ আর্থিক খাতের আধুনিক ইতিহাসে অভূতপূর্ব। মানুষ ঘরে থাকায় অনলাইনে অর্ডারের পরিমাণ বৃদ্ধিতে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অ্যামাজনের শেয়ারমূল্য বেড়েছে ৩১ শতাংশ। ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে তার সম্পদ বেড়েছে ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।

টেসলার ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা মাস্কের। নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর স্বল্পমেয়াদী প্রভাবে বিনিয়োগকারীরা পাত্তা না দেয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত টেসলার শেয়ারদর ৭৩ শতাংশ বেড়েছে।