নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে কাল, ইলিশ ধরতে প্রস্তুত জেলেরা

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২০ ১২:১৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৯ বার।

চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা অভয়াশ্রমের ৭০ কিলোমিটার অঞ্চলে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার ২ মাস শেষ হতে আর একদিন বাকি। গত ১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা বুধবার শেষ হবে। এ কারণে নিজেদের জাল ও নৌকা ঠিকঠাক করে ইলিশ ধরতে ব্যপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলেরা। খবর সমকাল অনলাইন 

এদিকে গত দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করে বিপুল সংখ্যক জেলে এবার জাটকা নিধনে মেতেছিলেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন যখন ডাঙায় ব্যস্ত, তখন এ সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন সেসব অসাধু জেলেরা। জাটকা নিধনের অপরাধে গত বছর যে কঠোর অভিযান চলেছে, এবার তা হয়নি। তারপরও গত দু’ মাস ধরে জেলা টাস্কফোর্স, নৌ বাহিনী, পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড কয়েকটি অভিযান চালিয়ে জেলেদের সাজা প্রদান করে, জাল পোড়ায় কয়েক লাখ বর্গমিটার। বিপুল পরিমাণ জাটকা জব্দ করা হয়। 

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত জানান, এবার অভিযান ছিলো ঢিলেঢালা। করোনার সুযোগ নিয়ে অসাধু জেলেরা জাটকা নিধন করেছে বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এসব জাটকা মুন্সিগঞ্জ মাওয়া হয়ে, মতলব নারায়গঞ্জ হয়ে অন্য জেলাগুলোতে বিক্রির জন্য পাচার হয়েছে। 

চাঁদপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা জাটকা নিধনরোধ এবং করোনায় অন্যান্য যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য ৩টি বড় লঞ্চ নদীতে নামিয়েছি।কিন্তু এই সুবিশাল নদী অঞ্চলে জাটকা নিধনরোধে এতো বড়নৌযানে কাজ হয় না, লাগে ছোট স্পীডবোট। কিন্তু ওই বোট আছে মাত্র একটি।

চাঁদপুর জেলা মৎস কর্মকর্তা আসাদুল বাকি বলেন, করোনার কারণে এবার একটু কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়েছে ঠিক, কিন্তু নদীতে অভিযান সার্বক্ষণিক ছিলো। আমরা টাস্কফোর্সের অভিযানে ২৬ লাখ বর্গমিটার জাল নদী ও আশপাশ থেকে উদ্ধার করে পুড়িয়েছি। শতাধিক জেলেকে অর্থদন্ডসহ জেল দেওয়া হয়েছে। 

তার মতে, যদি ১০/২০ ভাগ জাটকাও জেলেরা ধরে থাকে তাহলেও ইলিশের অভাব হবে না। নদীতে এখনো প্রচুর ইলিশ পোনা বিচরণ করছে, যেগুলো আগামী এক বছরে পরিপক্ক ইলিশরূপে ধরা দেবে জেলেদের জালে।

তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় জেলেরা পুরোদমে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঘরে বা বাইরে বসে জাল নৌকা ঠিকঠাক করছে। এখানের প্রায় ৪৫ হাজার জেলে নিষেধাজ্ঞা সময়ে প্রতিমাসে একেকজন ৪০ কেজি করে চাল পেয়েছে। জেলেদের এখন ভয় তারা দলবেধে এই মহামারি সময়ে ইলিশ ধরতে পারবে কি না।