লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় ইলিশ ধরতে নামছেন জেলেরা

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ মে ২০২০ ০৬:৫৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১১ বার।

নিষেধাজ্ঞার দুই মাস পর লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে আবারও পুরোদমে মাছ ধরতে ইলিশ আহরণে নামছেন জেলেরা। জাল ও নৌকার মেরামতসহ সব ধরনের কাজ সেরে শ্রক্রবার থেকে মাছ শিকারে নদীতে নামছেন জেলেরা। করোনা পরিস্থিতিতে সঠিক মূল্য না পাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। আর নিষেধাজ্ঞার উঠে যাওয়ায় জেলেরা খুশি হলেও অনেক জেলেই বলছেন, নিষেধাজ্ঞার দুইমাস পর সঠিক সময়ে খাদ্য সহায়তার চাল না পাওয়ার কথা। খবর সমকাল অনলাইন 

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে ৪৩ হাজার ৪ শত ৭২ জন জেলে নিবন্ধিত। মার্চ এপ্রিল ২মাস নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২মাস লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনাল এলাকার ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীর ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষিত এলাকায় মেঘনায় সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

চর কালকিনি এলাকার জেলে আওলাদ হোসেন জানান, এ এলাকার অনেক জেলে তার মতো দাদনদার মৎস্য আড়তদারদের টাকা পরিশোধের নিষেধাজ্ঞার শেষ সময়ে মেঘনায় মাছ ধরতে নদীতে নেমেছেন। সরকার নদীর পাড়ের আড়তগুলো বন্ধ রাখলে কোন জেলে আর মাছ ধরতে নামতো না।

জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞার আগে খাদ্য বরাদ্ধ আসলেও তা দেওয়া হয় না সঠিক সময়ে। আর সে সুযোগ পুঁজি করে সিন্ডিকেট করে নদীর পাড়ে আড়ৎ বসিয়ে তাদেকে নিষেধাজ্ঞার সময়ে বাধ্য করা হয় নদীতে যেতে। যথা সময়ে চাল অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ টাকা দেওয়া হলে নিষেধাজ্ঞায় নদীতে নামতেন না তারা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলাল হোসেন জানান, নিবন্ধিত ৪৩ হাজার ৪ শত ৭২ জন জেলের জন্য এ পর্যন্ত দুই কিস্তিতে মোট ৩১ হাজার ৬ শত ৮৮ মেট্রিক টন চালের বরাদ্ধ পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রথম কিস্তির চাল দেওয়া হলে বাকি কিস্তির চালগুলো ৭ এ্রপ্রিলের মধ্যে জেলেদের মাঝে স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেওয়া হবে বলে।