নওগাঁর ধামইরহাটে ক্রেতা না থাকায় লাউ নিয়ে বিপাকে এক ক্ষুুদ্র লাউচাষী

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২০ ১২:৪৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৭ বার।

নওগাঁর ধামইরহাটে করোনার প্রভাবে ক্রেতা না থাকায় লাউ নিয়ে বিপাকে পড়েছে এক ক্ষুদ্র চাষী। পাইকারী ক্রেতা না থাকায় জমি থেকে নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে লাভতো দূরে থাক পুজি হারানোর আশংকায় রয়েছে কৃষক।
জানা গেছে,ধামইরহাট পৌরসভার উত্তর চকযদু মহল্লার আব্দুল মান্নানের ছেলে মো.আশরাফুল ইসলাম বড় চকগোপাল (আবিলাম) মৌজায় সাড়ে ২৪ শতাংশ জমিতে ৪৬টি হাজারী লাউ চাষ করে। এছাড়া ওই জমিতে ৪৯টি আম গাছ,২৪টি লিচু গাছ,৪২টি লেবু,১৫টি পেঁপে,১৫টি কালিয়া ঝাল এবং ১৭টি পটল গাছ রোপন করে। ধামইরহাট সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসার নিকটে এবং ধামইরহাট-আলতাদিঘী সড়কের পশ্চিম পার্শে এ লাউ বাগান। বর্তমানে লাউ গাছগুলোতে প্রচুর ফুল এসেছে এবং পর্যাপ্ত ফল ধরেছে। করোনা মহামারীর মধ্যে লাউ গাছ থেকে লাউ আসতে শুরু করে। এখন প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি লাউ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কোন পাইকার না থাকায় ক্ষেতেই থাকছে লাউ। অনেক লাউ শুকে মারা যাচ্ছে। বর্তমানে ক্ষেত থেকে মানুষ যে যেমন দাম করছে সেভাবে লাউগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে ওই বাগানে প্রচুর লাউ গাছে ঝুলতে দেখা গেছে। এব্যাপারে ক্ষুদ্র চাষী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ৫০ হাজার টাকা খরচ করে এ বাগান তৈরি করেছি। আশা ছিল লাউ থেকে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় হবে। ফলন ভালো হলেও ক্রেতার অভাবে এখন আসল তোলা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ক্ষেত থেকে অর্ধেক দামে বড় লাউ ১০ টাকা,মাঝারী ৮ টাকা এবং ছোট ৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১৫ টি লাউ মানুষকে বিনামূল্যে খাওয়ার জন্য দেয়া হয়। 
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.সেলিম রেজা বলেন,সরকারি ঘোষিত প্রণোদনার আওতায় ওই চাষীকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হবে। এছাড়া এখন থেকে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ওই চাষীর লাউ ক্রয় করে বিনামূল্যে ধানকাটা শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।