ঋষির অসম্পূর্ণ ছবি ‘শর্মাজি নমকিন’-এর বাকি কাজ ভিএফএক্সে

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ মে ২০২০ ১৯:০২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৪ বার।

‘শর্মাজি নমকিন’ ছবির কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই চলে গেলেন ঋষি কাপুর। প্রায় অর্ধেকের বেশি শুটিং করে ফেলেছিলেন। তবে বাকি ছিল বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং। মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেই ছবির শুটিং থেকে বিরতি নিতে হত। এর মাঝেই গত ৩০ এপ্রিল গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিরনিদ্রায় চলে গেলেন বলিউডের ‘চিন্টু’।

এদিকে ঋষি চলে যাওয়ার পর ‘শর্মাজি নমকিন’ নির্মাতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কারণ, আদ্যোপান্ত কমেডি ঘরানার এই সিনেমায় মুখ্য চরিত্র ছিলেন তিনিই। ঋষির বিপরীতে অভিনয় করছিলেন জুহি চাওলা। একসময়কার হিট জুটি ঋষি-জুহিকে ফের বড়পর্দায় দেখার প্রত্যাশায় অনেকেই ছিলেন। কিন্তু ঋষির প্রয়াণের পর ‘শর্মাজি নমকিন’-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে বেজায় চিন্তায় রয়েছেন প্রযোজক-পরিচালকরা।

ছবির কাজ শেষ করবেন কীভাবে? সেই ভাবনাই ভাবিয়ে তুলেছে নির্মাতাদের। যেহেতু মুখ্য চরিত্রে ঋষি এবং অর্ধেকের বেশি শুটিং হয়ে গিয়েছে, তাই নতুন করে অন্য কাউকে কাস্ট করা আর সম্ভব নয়! শুটিংয়ের পাশাপাশি ডাবিংয়ের কাজও বাকি। ঋষির মতো কণ্ঠস্বরও দরকার। তাহলে কি বন্ধ হয়ে যাবে সিনেমার কাজ! অনেকেই ধন্দে ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি প্রযোজক হানি ত্রিহান জানিয়েছেন, “লকডাউন শেষ হওয়ার আগে মাত্র ৪ দিনের শুটিংয়ের কাজই বাকি ছিল। সেটা আর হয়ে উঠল না। পরিচালক হিতেশ ভাটিয়া এবং ক্রিউ মেম্বাররা বর্তমানে বড়সড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। ঋষিকে ছাড়া কীভাবে ছবির কাজ শেষ করা যায়, সেই চেষ্টাতেই রয়েছেন। তাই হিতেশ ঠিক করেছেন আধুনিক প্রযুক্তি এবং ভিস্যুয়াল এফেক্টেসের সাহায্য নিয়ে শেষ করা হবে বাকি ছবি।”  

এই ছবির গল্প এবং চিত্রনাট্য যৌথভাবে লিখেছেন হিতেশ এবং সুপ্রতীক সেন। প্রসঙ্গত, এর আগে ‘বোল রাধা বোল’ (১৯৯২), ‘ঘর কি ইজ্জত’ (১৯৯৪), ‘সাজন কা ঘর’ (১৯৯৪)-এর মতো বেশ কিছু ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন ঋষি এবং জুহি। শেষবার ২০০৯ সালে পরিচালক জোয়া আখতারের ‘লাক বাই চান্স’-এ তাঁদের অভিনয় দেখেছেন দর্শক। ১০ বছর পর ফের সেই জুটিকেই পর্দায় দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শক।