নওগাঁয় করোনায় সুস্থ ১০: নতুন করে এক কিশোরসহ মোট আক্রান্ত ৭০ জন

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ মে ২০২০ ১০:৪১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১০ বার।

নওগাঁয় করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়ে ৯জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলেন। তারা হলেন, রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকা দীপা, মোসলেমা ও তুহিন রানা, আত্রাই উপজেলার আনোয়ারা বিবি, সাদিক ও সামাদ, মহাদেবপুর উপজেলার আশা ও সুজিত, মান্দা উপজেলা সাব্বির। এর আগে সাপাহার উপজেলার  খায়রুল ইসলাম নামে আরো একজন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এনিয়ে মোট মোট ১০ জন করোনাকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন। এ উপলক্ষে করোনা থেকে সুস্থ্য ব্যাক্তিদের স্ব স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিভাগের পক্ষ থেকে ফুলেল তোড়া উপহার দিয়ে তাদের বিদায় জানানো হয়। নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা: আ.ম.আখতারুজ্জামান মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত ওই ১০ব্যক্তিকে ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে চিকিৎসার দেওয়া হয়। ১৪দিন পর প্রত্যেকের নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে। এরপর তারা সম্পন্ন সুস্থ্য হওয়ায় তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। 
করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ্য হওয়া রাণীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকা দীপা বলেন, প্রথমে করোনা পজেটিভ হওয়ার খবর শোনার পর খুব ভয় পেয়েছিলাম। মনে হয়েছিল আর বোধ হয় বাঁচবো না। কিন্তু চিকিৎসকদের চিকিৎসা-পরামর্শ  পেয়ে ও নিয়ম-কানুনগুলো সঠিক ভাবে পালন করায় ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পর সুস্থ্য হয়েছি। খুবই ভালো লাগছে যে আমি করোনা ভাইরাসকে পরাজিত করতে পেরেছি। 
অপর করোন জয়ী সাপাহারের খাযরুল ইসলাম বলেন স্বাস্থ্য বিভাগের সকল নিদের্শনা মানাসহ আমার মনে দৃঢ বিশ^াস ছিল আমি ভাল হয়ে যাব, সর্বশেষ আল্লাহর রহমতে সুস্থ্য হযেছি। নিযমিত পরিস্কার পরিছন্নতা, চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন এবং নিয়মিত নামাজ আদায় করার কারনেই আজ আমি সুস্থ্য।
অপরদিকে নওগাঁর ধামইরহাটে আবারও একজন ঢাকা ফেরত ১৫বছর বয়সের কিশোরের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পরেছে। ছেলেটির বাড়ি আলমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চাঁদপুর গ্রামে। উপজেলা প্রশাসন আলমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চাঁদপুর গ্রামের বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. স্বপ্নন কুমার বিশ্বাস সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান আক্রান্ত ছেলেটি ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতো। গত ৫ মে ঢাকা থেকে বাড়ি এলে গ্রামের মানুষ বাধা দিলে পরের দিন ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে শরীরে করোনা আছে কিনা পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রদান করে। গতকাল তার ফলাফলা পজিটিভ এসেছে। বর্তমানে ওই কিশোরীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদিকে এপর্যন্ত জেলায় ৭০ জন করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে।  এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ১২২ জন সহ ১ হাজার ৫১৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।  প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৩৫ জন বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।