আগামী বছর সব স্কুলে একযোগে প্রাক প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:১৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১০ বার।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন বলেছেন, আগামী বছর সারাদেশে ২৬ হাজার বিদ্যালয়ে একযোগে প্রাক প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার  রাজধানীর গুলশানে স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে দেশব্যাপী কাগজবিহীন বিদ্যালয় পরিদর্শন ব্যবস্থা ই মনিটরিং এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। 

সচিব বলেন, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ হবে প্রাথমিকে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণের ভিত্তি বছর। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ১ জানুয়ারি মধ্যে সব স্কুলে বই পৌঁছে যাবে। ২ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে পাঠদান শুরু হবে। এসময় সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের সর্বাত্মক সহায়তা কামনা করেন তিনি। 

গণশিক্ষা সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে কাগজবিহীন বিদ্যালয় পরিদর্শন ব্যবস্থা ই মনিটারিং যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। এতে করে বিদ্যালয় পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সহজ হবে। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। তাই বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বাড়াতে হবে। তাই প্রাথমিক বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা ব্যবস্থা প্রণয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। 

তিনি বলেন, আগামী বছরের শুরু থেকে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকদের সভায় ভিডিও কনফারেন্স করে আমি যোগ দিবো। সচিব থেকে সহকারী শিক্ষক পর্যন্ত প্রত্যেককে নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষার প্রত্যেকটি স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিবেশ তৈরিতে কাজ করা হচ্ছে। 

গণশিক্ষা সচিব বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মাননোন্নয়নে সরকারে অনেক টাকা খরচ করেছেন। কিন্তু সচিব হিসেবে আমি মনে করি আমরা এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। এ দায়ভার আমার, মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকসহ প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সবার।

 

অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, সেভ দ্যা চিলড্রেনের শিক্ষা সেক্টরের পরিচালক বুশরা জুলফিকারসহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে দেশব্যাপী ৬৪টি জেলায় কাগজবিহীন বিদ্যালয় পরিদর্শন ব্যবস্থা ই মনিটরিং এর উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন।   

উল্লেখ্য, সারাদেশে ৬৫ হাজার ৯৯টি সরকারি বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে পুরানো সরকারি বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৬৭২টি এবং নতুন সরকারি হওয়া ২৬ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় রয়েছে। পুরানো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্বখাতভুক্ত প্রাক প্রাথমিক শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৮৯৫ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সরকারি  হওয়া ২৬ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয়ে পিইডিপি-৪ এর আওতাভুক্ত প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষকদের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনে নিয়োগ দেয়া হবে। বছরে ১২ মাসের বেতন ও দুটি বোনাস দেয়া হবে। সে অনুযায়ী সারাদেশে নতুন করে ২৬ হাজার ১৫৯ শিক্ষক নিয়োগে সরকারের নতুন করে ৫৪৯ কোটি ৩৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা প্রয়োজন হবে।