প্রশান্ত মহাসাগরে হারানোর ৪০ দিন পর বেঁচে ফিরলেন দুই মৎস্যজীবী
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
দিগন্ত বিস্তৃত প্রশান্ত মহাসাগরে নিখোঁজের ৪০ দিন পর হাড্ডিসার শরীর নিয়ে কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন মাশাল দ্বীপপুঞ্জের দুই মৎসজীবী। বৃহস্পতিবার এমনই এক বিস্ময়কর খবর দিয়েছে দ্বীপ দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, আউটবোর্ড-ইঞ্চিন চালিত ছোট্ট একটি নৌকায় করে মাইক্রোনেশিয়ার মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে ছোট দ্বীপ নামোলুকে পৌঁছান দুই মৎসজীবী গডফ্রে ক্যাপেলে ও টমাস বেঞ্জামিন। তাদের ফেরায় তৃতীয় কোনো পক্ষের সাহায্য নেই বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
উদ্ধার হওয়া স্থান থেকে ১,৬০০ কিলোমিটার দূরের একটি জায়গা থেকে ছয় সপ্তাহ আগে মাছ ধরার জন্য সাগরে পাড়ি জমিয়েছিলেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রীত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, “৪০ দিন সাগরে ভেসে থেকে তাদের অবস্থা একেবারে হাড্ডিসার এবং খুবই দুর্বল।”
ক্যাপেলে, বেঞ্জামিন ও জুনিয়র জোরাম নামে আরও একজনের সাগরে হারিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে তারা তিনজন এক সঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু জোরামের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।
গত ২ এপ্রিল এবেয়ে দ্বীপের খাওয়াজালেইন উপহ্রদের পাশে সাগরে মাছ ধরার পর জন্য নামেন তিন মৎস্যজীবী। কিন্তু তাদের নৌকার ইঞ্জিন দ্রুত বিকল হয়ে যায়। তীব্র বাতাসে সাগর উত্তাল হয়ে উঠলে ঝাঁপ দেন তারা। এরপর তাদের খোঁজে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ কর্তৃপক্ষের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়।
এর মধ্যে তাদের জীবিত ফেরে আসা সবাইকে বিস্মিত করেছে। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে এমন ঘটনা অবশ্য একেবারে বিরল নয়। ২০০৬ সালে প্রশান্ত মহাসাগরে নয় মাস ভেসে থাকার পর মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে উদ্ধার হন মেক্সিকোর তিন নাগরিক।
একই জায়গায় ২০১৪ সালে ষোলো মাস ভেসে থাকার পর উদ্ধার হন এল সালভাদরের এক নাগরিক।