এক-তৃতীয়াংশ করোনা রোগীর রক্ত জমাট বেঁধে যায়

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ মে ২০২০ ০৬:০৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১১৯ বার।

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের এক-তৃতীয়াংশেরই শরীরে বিপজ্জনকভাবে রক্ত জমাট বাঁধতে দেখা গেছে। মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রক্তের জমাট বাঁধা, যা ক্লট বা থ্রোম্বোসিস নামে পরিচিত, এটি করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর হার বাড়িয়েছে। আর এক্ষেত্রে ফুসফুসে তীব্র প্রদাহ তৈরি হয়। যাকে ভাইরাসটির প্রতি শরীরের এক ধরনের প্রতিক্রিয়া বলা যায়। খবর বিবিসির।

বিশ্বব্যাপী চরম আকার ধারণ করেছে করোনা মহামারি। ভাইরাসটির সংক্রমণে মানবদেহে নানা রকম জটিলতার সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে কিছু জটিলতা প্রাণঘাতী।

গত মার্চে যখন বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ে, তখন থেকেই চিকিৎসকরা দেখেছেন, রোগীর শরীরে রক্তে ক্লট তৈরি হয়, তবে তা ধারণার চেয়েও অনেক বেশি। তাছাড়া কিছু রোগীর ফুসফুসে শত শত ক্ষুদ্র ক্লট দেখা গেছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, ভাইরাসের সংক্রমণে দেহের গভীর শিরাগুলোতে থ্রোম্বোসিস তৈরি হয়, যা সাধারণত পায়ের শিরায় দেখা যায়। এভাবে রক্ত জমাট বেঁধে শিরার জায়গায় জায়গায় আটকে পড়ে কিংবা সেগুলো যদি টুকরো বা ক্ষুদ্র হয়ে ভেঙে ফুসফুসের দিকে যায়, তখন তা রক্ত চলাচলকে আটকে দিয়ে জীবন হুমকির মুখে ঠেলে দেয়।

এমনই একজন রোগী ছিলেন লন্ডনের শিল্পী ব্রায়ান ম্যাকক্লার। গত মাসে নিউমোনিয়ার লক্ষণ নিয়ে তাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত। শুধু তাই নয়, ভাইরাসের সংক্রমণে তার রক্তে জমাট বেঁধে গেছে।

তিনি বলেন, 'আমার ফুসফুসে স্ক্যান করে দেখা গেল তাতে রক্ত জমাট। আমাকে জানানো হলো, জীবন সংকটাপন্ন। তবে শেষপর্যন্ত চিকিৎসায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আমি এখন বাসায় চিকিৎসাধীন আছি।'

এ বিষয়ে লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালের থ্রোম্বোসিস ও হেমোস্টেসিস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রুপেন আর্য বলেন, 'গত কয়েক সপ্তাহের করোনা রোগীর বিপুল তথ্য ঘেটে আমরা  নিশ্চিত হয়েছি, করোনার কারণে রক্তে থ্রোম্বোসিস তৈরি হয়েছে, যা একটি ভয়ানক সমস্যা। এটি বিশেষ করে করোনা রোগীর অবস্থা জটিল করে দেয়। চিকিৎসাকে জটিল করে দেয়।'

তিনি বলেন, 'আমার ধারণা রক্ত জমাট ৩০ শতাংশ নয়, ইউরোপের অর্ধেক করোনা রোগীর ক্ষেত্রেই এটি ঘটছে। আর এতে মৃত্যুর হারও বেড়েছে।'